বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এই মুহূর্তে বাংলার জ্বলন্ত ইস্যু হলো জমি ‘দখল মুক্ত’ করা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা শুরু হবার পরে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী এক মাসের বিরতি দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথাকে সামনে রেখেই ‘পোর্ট’ কর্তৃপক্ষ নেমে পরে ময়দানে।
আর তা নিয়েই উদ্বিগ্ন প্রায় ৫ হাজার বস্তিবাসী। জানা যাচ্ছে ১১ নম্বর গোড়াহাছা রোডে যে বস্তি রয়েছে, সেখান থেকেই মানুষজন এসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির সামনে। মাজেরহাটের কাছে ওই জমিটি পোর্টের এলাকা। সেখানেই বছরের পর বছর ধরে থেকে আসছেন এই বস্তিবাসীরা। সুরাহার আশায় শনিবার সন্ধ্যায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ি সামনে ভিড় জমিয়েছেন তাঁরা। তাদের হাতে পোস্টার – ‘দিদি আমাদের বস্তি বাঁচান।’
ক্যামেরার সামনে এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমাদের থাকার জায়গা নেই। বাচ্চা নিয়ে থাকি। আমরা কোথায় যাব এখন এই বর্ষার সময়? আমাদের মাথার উপর ছাদটুকু বাঁচান।’ তারা জানান, তাঁদের বস্তি ভাঙার নোটিস দেওয়া হয়েছে। সোমবার থেকে ভাঙা হবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, সেখানে অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার রয়েছে। অপর এক মহিলা জানাচ্ছেন, তাঁরা বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে সেখানে বাস করছেন। কিন্তু গতকাল আচমকা পোর্টের তরফে কিছু অফিসার এসে তাঁদের দু’দিন সময় দিয়েছেন ঘর ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য। এই মুহূর্তে তারা দিশেহারা। এদিকে শনিবার সন্ধেয় এই ঘটনার পরই বাড়ি থেকে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বস্তিবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এখন দেখার ওই সমস্যার সমাধান হয় কিনা!