বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
প্রত্যাশা মতোই রাজনীতির বাইশ গজেও জয় দিয়েই যাত্রা শুরু করলেন শাকিব আল হাসান। দেশের দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে খেলার মাঠ সংসদ ভবনে পৌঁছে গেলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার।বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সাংসদ হলেন তিনি। এর আগে নৈমুর এহসান দুর্জয় এবং মাশরফি মোর্তাজা সাংসদ হয়েছিলেন।ভোটে জয়ের দিনেও বিতর্কে জড়ালেন শাকিব।
শাকিব উপমহাদেশের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের আইকনও। রাজনীতির মাঠে নেমে মানুষের ধাক্কাধাক্কি সামলাতে হয়েছে শাকিবকে। মানুষের ভিড় সব সময় ঘিরে থাকছে তাঁকে। তাঁর সঙ্গে দেখা করা ও ছবি তোলার ইচ্ছা সকলের মধ্যেই থাকে। কিন্তু ভোটের দিনে নিজের মেজাজের রাশ ধরে রাখতে পারলেন না শাকিব।
রবিবার ভোটের দিনে বিভিন্ন বুথে পরিদর্শন করেন শাকিব। তাঁকে কাছে পেয়ে হঠাৎ করেই তাঁকে সকলে ঘিরে ধরেন। তাদের একজন তাঁকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। কিছু সময়ে পর শাকিব প্রবল বিরক্ত হন এমনকি মেজাজ হারিয়ে এক ভক্তকে কষিয়ে চড় মারেন শাকিব।
শাকিবের একটি ভিডিও সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে এক ভক্তকে তিনি সপাটে চড় মারছেন। ভিডিয়োটি কোথায় এবং কখন তোলা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এমনকি এই ভিডিওর সতত্য যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা। তবে মনে করা হচ্ছে, রবিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন নিজের কেন্দ্রে বিভিন্ন বুথে ঘুরে দেখছিলেন শাকিব। সেই সময়ে কোনও ভক্ত তাঁর কাছে এগিয়ে যান। তাতেই মেজাজ হারান তিনি।
শাকিব নির্বাচনে লড়লেন মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ)। এই আসনে ভোট চলাকালীন কোনও অশান্তি বা হিংসার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবেই।কিন্তু শাকিবের কাছ থেকে আচমকা চড় খেয়ে হতভম্ব হয়ে যান ওই ভক্ত। আশপাশের বাকিরাও অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন।
যদিও দিনের শেষে বড় জয় পেয়েছেন শাকিব। বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার পেয়েছেন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৮৮টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের রাজী রেজাউল হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৪ ভোট। এবার সাংসদ হিসাবে নতুন ইনিংস শুরু করছেন শাকিব।
শাকিব কিন্তু ক্রিকেট খেলা ছাড়ছেন না এখনই। তিনি রাজনীতি ও ক্রিকেট একসঙ্গে সামলাবেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়র লিগ। সেখানে রংপুর রাইডার্সের ক্যাপ্টেন হিসেবে দেখা যাবে তাঁকে। শাকিব আল হাসানকে শেষবার ক্রিকেট মাঠে দেখা গিয়েছিল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। এই টুর্নামেন্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে দলের পারফরম্যান্স ছিল খুবই হতাশা জনক।