বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
সোমবারই অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা। দেশ-বিদেশ থেকে পৌঁছতে শুরু করেছেন ভক্তরা। শ্রী রামচন্দ্রের চরণে সমর্পণের জন্য নানাবিধ সামগ্রী নিয়ে আসছেন তাঁরা।
হায়দরাবাদ থেকে যেমন এমন ভক্ত হাজির হয়েছেন বিশালাকৃতি এক লাড্ডু নিয়ে। যা দিয়ে তিনি পুজো দিতে চান। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন প্রসাদের তালিকায় কী কী থাকছে সেই তালিকাও সামনে এলো।
রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় প্রচুর ভক্ত সমাগম হবে। গতকালই জনসমক্ষে এসেছে রামলালার মূর্তি। জানা যাচ্ছে, পুজোর প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হবে বিশেষ ধরনের থেপলা, বাদাম দিয়ে তৈরি মিষ্টি, কড়াইশুঁটির কচুড়ি। এ ছাড়াও অন্যান্য বিশেষ ধরনের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে ভোগ দেওয়া হবে। যা বিতরণ করা হবে ভক্তদের মধ্যে।
হায়দরাবাদ থেকে এক ভক্ত অযোধ্যার করসেবকপুরমে পৌঁছেছেন ১২৬৫ কেজি ওজনের বিশেষ লাড্ডু নিয়ে। নিজামের শহরে শ্রী রাম কেটারিং সার্ভিস চালু করেছিলেন। ব্যবসা শুরুর সময় তিনি সংকল্প করেছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণ হলে প্রতিদিন তিনি ১ কেজি করে লাড্ডু ভগবানের চরণে সমর্পণ করবেন।
সংস্থার কর্ণধার এন নাগাভূষণম জানিয়েছেন, ঈশ্বরের আশীর্বাদে ব্যবসা ভালোই চলছে। এর ফলে আমার পরিবারের সকলে ভালো আছেন। যতদিন বাঁচব প্রতিদিন ১ কেজি করে লাড্ডু শ্রী রামচন্দ্রের পুজোয় দেব বলে স্থির করেছিলাম। সে কারণেই এই লাড্ডু নিয়ে এসেছি।
যে গাড়িতে লাড্ডুটি আনা হয়েছে তাতে বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এয়ার সাসপেনশনের ব্যবস্থা যেমন রয়েছে, তেমনই কাঁচ ঘেরা জায়গায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনা সুনিশ্চিত করে তার মধ্যে লাড্ডুটি রাখা হয়েছে। ফুড সার্টিফিকেটও নিয়ে এসেছেন তিনি।
তিরুমালার বালাজি মন্দিরে পাওয়া যায় এমন বস্তু ব্যবহার করা হয়েছে লাড্ডু তৈরিতে। এর ফলে লাড্ডু ১ মাস ভালো থাকে বলে জানিয়েছেন এই ভক্ত। লাড্ডুটি তৈরি করতে তিন দিন লেগেছে। লাড্ডুটি জমাতেই লেগেছে ৩ দিন। এটি তৈরি করেছেন ২৫ জন মিলে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশাল লাড্ডু দেখতে অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই অয়োধ্যায় পৌঁছেছে ৪০০ কেজি ওজনের তালা। বিশাল সেই তালা-চাবিকে বিশ্বের বৃহত্তম বলে দাবি করেছিলেন আলিগড়ের বাসিন্দারা। এবার সেই বিশাল তালার পর এলো বিশাল লাড্ডু। রোজই মন্দিরে চলছে পূজা-পাঠ। প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে রীতি মেনেই সব কিছু চলছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পূজার্চনা শুরু হয়েছিল। চলে বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত।