বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন শুধু গণতন্ত্রের উৎসব ন‌য়, দাবি আদায়ের একটি মঞ্চও। গোটা দেশে শুক্রবার থেকে শুরু হল লোকসভা।

প্রথম দফার ভোটে দেশের মোট ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হ‌ল। এর মধ্যে নাগাল্যান্ডও। কিন্তু উত্তর পূর্বের এই রাজ্যেঘটল বিরল ঘটনা। দাবি পূরণ ‌না হওয়ায় ভোট বয়কট করলেন ভোটাররা। সেটা একটি বা দুটি বুথে নয়, একেবারে ছয় জেলায়। প্রায় শূন্য শতাংশ ভোট পড়ল নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায়। ১৬ জেলার নাগাল্যান্ডে একটিই লোকসভা আসন। সেখানেও ভোট দিতে আগ্রহী নন জনগণ।

বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিপুল সংখ্যায় মানুষের ভোট বয়কটের এমন নজির মাওবাদী এলাকাতেও নেই। যদিও নাগাল্যান্ডের ওই ছয় জেলার হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। অবাক করে দিয়ে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তে অবিচল নাগাল্যান্ডের ছয় জেলার মানুষ। কমিশন সূত্রে বলা হচ্ছে, এই ঘটনা নজিরবিহীন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ভোটাররা? সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যই তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, নাগাল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তের ছয় জেলার মানুষ বহুদিন ধরেই পৃথক প্রশাসন, বাজেট এবং স্বশাসন দাবি করে আসছে। ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন নামে একটি সংগঠন ওই দাবি আদায়ে ভোট বয়কটের ডাক দেয়। সেই ডাকে সাড়া দিলেন ছয় জেলার মানুষ।
ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন নামে ওই সংগঠন আগেই ঘোষণা করেছিল ভোট প্রক্রিয়া শুরুর আগে যদি কেন্দ্র ফ্রন্টিয়র নাগাল্যান্ড টেরিটরি তৈরির বিজ্ঞপ্তি না দেয়, তাহলে তারা ভোট বয়কট করবে।শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র ওই আলাদা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা গঠনের বিজ্ঞাপ্তি দেয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত ভোট বয়কটের পথেই হাঁটলেন নাগাল্যান্ডের ছয় জেলার মানুষ।

একটিও ভোট দিল না নাগাল্য়ান্ডের ৬ জেলা, ছয় জেলার সব বুথ ভোটার বিহীন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ওই ছয় জেলায় ভোটদানের হার কার্যত শূন্য। কয়েকজন সরকারি আধিকারিক ভোটদান করেছেন। তাঁদেরও পরিবারের সদস্যরা বুথে যাননি। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট কমিশন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তেমন কোনও আভাস সরকারি রিপোর্টে ছিল না।

ইএনপিও গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে অভিযোগ তুলে ভারতের উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা সংগঠনটির বিরুদ্ধে একটি নোটিস জারি করেছে।তাতে বলা হয়েছে, “সংগঠনটি পূর্ব নাগাল্যান্ড অঞ্চলে বসবাসকারীদের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অবাধ স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার… অযাচিত প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *