বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বেঅষ্টদশ লোকসভা নির্বাচনে এসে প্রথমবার ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা হলো গ্রেটার নিকোবরের শম্পেন জনগোষ্ঠীর ভোটারের। ২০১১ সালে জনগণনা অনুযায়ী যে জনজাতির জনসংখ্যা ছিল ২২৯।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারই প্রথম ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন বিপন্নপ্রায় শম্পেন জনগোষ্ঠীর মানুষ। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে ৯৮ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিলেন ৭ জন।

আন্দামান ও নিকোবর লোকসভা আসনের ৪১১ নম্বর বুথে আজ রচিত হলো নয়া ইতিহাস। বন দফতরের কর্মীদের আবাসনের ভিতর এই জনজাতির ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বিশেষ বন্দোবস্ত ছিল। বুথের নাম দেওয়া হয়েছিল শম্পেন হাট (Shompen Hut)।

ভোটাররা ভোট দিলেন। এরপর নির্বাচন কমিশনের তরফেই তৈরি করা হয়েছিল সেলফি জোন। সেখানে দাঁড়িয়ে ভোটাররা এপিক কার্ড হাতে ছবিও তুললেন। নির্বাচন কমিশনের আশা, এবার সাতজন ভোটার ভোট দিলেন। তাঁদের ভোটদান, ভোট দেওয়ার পর তোলা ছবি অনুপ্রাণিত করবে এই জনগোষ্ঠীর বাকিদেরও।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বি এস জাগলান জানিয়েছেন, এই প্রথম শম্পেন জনগোষ্ঠীর মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন। তাঁদের আগে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এটা খুবই ইতিবাচক যে, এই জনজাতির ভোটাররা জঙ্গলের বাইরে এসে ভোট দিলেন।

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩,১৫,১৪৮। তাঁদের মধ্যে ১,৬৪,০১২ জন পুরুষ ও ১,৫১,১৩২ জন মহিলা। চারজন রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। এই ভোটারদের মধ্যে রয়েছেন স্ট্রেট আইল্যান্ডের ৩৯ জন গ্রেট আন্দামানিজ, হাট বে-র ৬৮ জন ওঙ্গে ও গ্রেট নিকোবর আইল্যান্ডের ৯৮ জন শম্পেন।

২০১৯ সালের মতো এবারের লোকসভা নির্বাচনেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ওঙ্গে ও গ্রেটার আন্দামানিজ জনগোষ্ঠীর ভোটাররা। ৩৯ জন গ্রেট আন্দামানিজই ভোট দিয়েছেন। বিকেল তিনটে অবধি পাওয়া খবরে ওঙ্গে জনগোষ্ঠীর ৬৮ জনের মধ্যে ২৭ মহিলা-সহ ভোট দিয়েছেন ৬২ জন।

এই লোকসভা আসনে প্রার্থী ১২ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ২ মহিলা প্রার্থী ও ৫ নির্দল। মূল লড়াই কংগ্রেসের বিদায়ী সাংসদ কুলদীপ রাই শর্মার সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বিষ্ণুপদ রায়ের।

এদিকে, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়়ে টোটোপাড়া। ভুটান পাহাড়ের কাছে দুর্গম এই গ্রামেই বাস বিপন্নপ্রায় টোটো জনগোষ্ঠীর মানুষজনের। এখানকার ধনীরাম টোটো পদ্মশ্রীও পেয়েছেন। সেই টোটোপাড়াতেও আজ চলেছে ভোটগ্রহণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *