বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ গতকাল হল দেশের ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২ আসনে। বুথে বুথে দেখা মিলল শতায়ু ভোটারদের।
এই প্রবীণ-প্রবীণাদের কারও বয়স আবার ১০২! যা প্রথম দফায় লোকসভা ভোট হওয়া মোট আসনের সমান।
প্রবীণ-প্রবীণাদের জন্য বাড়িতে গিয়ে ভোটগ্রহণের বন্দোবস্ত করেছিল নির্বাচন কমিশন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্যও ছিল সেই বন্দোবস্ত। অনেকেই সেভাবে ভোট দিয়েছেন। অনেকে আবার বুথে গিয়েই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সারা দেশে বেশ কিছু মহিলা পরিচালিত বুথও ছিল। পিঙ্ক বুথে বিশেষ বন্দোবস্ত ছিল মহিলাদের জন্য। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পিঙ্ক বুথ থাকায় মহিলা ভোটাররা আরও বেশি সংখ্যায় এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন ভোটাররাও ভোটদানের ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বহু নতুন ভোটার যেমন এদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন, তেমনই দেশের নানা প্রান্তে দেখা মিলেছে শতায়ু ভোটারদের। কোচবিহারে ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ভোট দিলেন ১০২ বছরের রামেন্দ্র বর্মন। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে বললেন, যতদিন বাঁচব ভোট দেব।
তামিলনাড়ুর দিন্দিগুল জেলার রেড্ডিয়ারচতরমের বুথে গিয়ে ভোট দিলেন আরেক শতায়ু। তাঁর বয়সও ১০২। এপিক কার্ডে তাঁর নাম লেখা রয়েছে চিন্নাম্মল। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার বাশোলিতে ভোট দিলেন ১০২ বছরের কেহার সিং। সান্ধারের শারা মিডল স্কুলে ৩৪ নম্বর বুথে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
বিহারের ঔরঙ্গাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের রফিগঞ্জে মদনপুর ব্লকের কুশাহা গ্রামে ৩০৪ নম্বর বুথে ভোট দিয়েছেন জেসিয়া দেবী। জানা গিয়েছে তাঁর বয়সও ১০২। পুতির কোলে চড়ে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পেরে তিনি বেশ খুশি। স্বাধীনতার পর প্রথম লোকসভা ভোটে ভোট দিয়েছিলেন। আজও ভোট দিলেন। তাঁরও এক কথা, যতদিন বাঁচব, অংশ নেব গণতন্ত্রের উৎসবে।