বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগরে এনআইএ’য়ের (NIA) উপর হামলার ঘটনায় কড়া নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল কমিশন। একই সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপারকেও রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে (Election Commission of India)।
সন্ধ্যার মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা নির্বাচন দফতরকে বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রাজ্যর (west Bengal) আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নয় কমিশন (Election Commission of India)। তা নিয়ে গত কয়েকদিন আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এই অবস্থায় আজ শনিবার আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হচ্ছে কমিশনে। এর মধ্যেই ভূপতিনগরে এনআইএ’য়ের উপর হামলার (NIA team attacked in Bhupatinagar) ঘটনা। যা মোটেই ভালো চোখে নিচ্ছে না কমিশন। ঘটনার পরেই কমিশনে রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ সুপার (পূর্ব মেদিনীপুর), এসডিপিও ও ভূপতিনগরের ওসি-র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন।
এমনকি বিস্তারিত রিপোর্টও বিজেপির তরফে মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে। এরপরেই এহেন পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। কমিশন সূত্রে খবর, ভুপতিনগর (NIA team attacked in Bhupatinagar) নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হবে। খুব দ্রুত সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে পাঠানো সম্ভব হয় তা নিয়েও কমিশন সিদ্ধান্ত এদিন নিতে পারে বলে খবর।
পাশাপাশি রিপোর্টের ভিত্তিতে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেও কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরেই কলকাতায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত নালিশ জানান।
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি নেতা বলেন, রাজ্যে আরও একবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির উপর হামলার ঘটনা ঘটল। এই বিষয়ে বাংলার পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এই বিষয়ে হাতে ব্যবস্থা করা হয় সেই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিশির বাজোরিয়া।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত ২০২২-এর দোসরা ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতে ঝলসে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের বিরুদ্ধে বেআইনি বাজি কারবারের অভিযোগ উঠেছিল।
যদিও বাহি ব্যবসার আড়ালে বোমা তৈরি করা হত বলে অভিযোগ সামনে আসে। এমনকি ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার যায় এনআইএ’র হাতে। সেই মতো ঘটনার তদন্ত করছে তদন্তকারী সংস্থা। আজ শনিবার ঘটনাস্থলে যান এবং দুজনকে গ্রেফতার করে। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এবং হামলা করা হয় এনআইএ’র উপর।