বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অত্যাচার, অনাচার, ব্যাভিচারের সরকার। এইভাষাতেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের অন্তর্গত তপনের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোরে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে এনআইএ-র ওপরে হামলা নিয়ে তিনি বলেন, মহিলারা কি হাতে বালা পরে বসে থাকবেন?

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতে গত ২০২২-এর দোসরা ডিসেম্বর বিস্ফোরণের যে ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল, সেই ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কোথায় একটা চকোলেট ফেটেছিল! সেই ঘটনায় কেন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতার, সেই প্রশ্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তপনের সভা থেকে দলের বুথ কর্মীদের গ্রেফতারি নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, বুথ কর্মীদের গ্রেফাতর করবেন না। তিনি বলেছেন, তুমি বাড়ি বাড়ি যাবে, আর বুথ কর্মীরা চুপ করে বসে থাকবেন?

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মোদীর গ্যারান্টি হল এজেন্সি দিয়ে বিরোধীদের গ্রেফতার করা। একশো দিনের কাজ বন্ধ করা, আবাস প্রকল্পের টাকা না দেওয়া। যে তপনে মুখ্যমন্ত্রীর সভা সেখানকার তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতার নাম না করে গদ্দার ও কুলাঙ্গার বলে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এঁরাই দিল্লি গিয়ে বাংলার জন্য প্রাপ্ত বরাদ্দ আটকে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজের গ্যারান্টি প্রসঙ্গে বলেন, লক্ষ্মীর ভান্ডার হল গ্যারান্টি। স্বাস্থ্যসাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হল গ্যারান্টি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালির যে মহিলা প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, যাঁকে বিজেপি প্রার্থী করেছে, সেই মহিলাও লক্ষ্মীর ভান্ডার ও স্বাস্থ্যপাথীর সুবিধা পান। তাঁর সরকার করেছিল বলেই সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভোট এলেই সিআরপিএফ আর সিআইএসএফ আসে। সিবিআই-বিজেপি ভাই-ভাই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ইডি আর ইনকাম ট্যাক্স বিজেপির ফান্ডিং বাক্স। বিএসএফ ভোটের সময় বিজেপির হয়ে কাজ করে বলেও অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে ভোটে জিতে দেখাক।
তবে শুধু এদিনই নয়, কোচবিহারে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এনআইএ, ইডি, আয়কর ও বিএসএফ-সিআইএসএফ বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির ক্ষমতার অপব্যবহারের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান করেছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, সব রেল স্টেশন গেরুয়া করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকেও গেরুয়া রং করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেশনে সবার জন্য চালের বন্দোবস্ত করার পরেও, কেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি থাকবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *