বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আদালতের নির্দেশে শনিবার বসিরহাট জেলে গিয়ে প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতাকে দফায় দফায় জেরা করে তদন্তকারী সংস্থা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এমনকি তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) করছিলেন না বলেও দাবি। এরপরেই তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শেখ শাহজাহানের নাম পান ইডির আধিকারিকরা। এরপর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে মার খেয়ে খালি হাতে ফেরেন আধিকারিকরা।
এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই আগুন জ্বলে ওঠে সন্দেশখালিতে। শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে পথে নামেন মহিলারা। সামনে আসে একের পর এক কুকীর্তির কথা। প্রবল চাপে পড়ে যায় শাসকদল তৃণমূল।। যদিও ইডির উপর হামলার পর থেকেই গা ঢাকা দেয় সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ (Sheikh Shahjahan)।
ঘটনার প্রায় ৫৬ দিনের মাথায় রাজ্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। প্রথমে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। ইডির উপর হামলা সহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির উপর হামলার ঘটনায় এখনও প্রায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরা করা হয়েছে আরও বেশকয়েকজনকে।
যদিও হেফাজত শেষে বসিরহাট জেলে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। আদালতের নির্দেশে এদিন সেখানেই তদন্তে চান ইডি আধিকারিকরা। আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে আজ সকাল সকাল থেকে জেরা করা হয়। কিন্তু কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই খবর। এরপরেই শেখ শাহজাহানকে ইডি গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার করা হলেও বসিরহাট জেলেই থাকতে হবে। খুব শীঘ্রই তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে ইডি নেবে বলেই খবর।
এই বিষয়ে সোমবারই আদালতের দ্বারস্থ তদন্তকারী সংস্থা হতে পারে বলে খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, রেশন দুর্নীতি ছাড়াও শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও একটি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। মাছ আমদানি-রফতানিতেও বড় কেলেঙ্কারি রয়েছে শেখ শাহজাহানের। শুধু তাই নয়, ৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার সম্পত্তির হদিশও মিলেছে বলে খবর। বিশাল এই সম্পত্তির উৎস কীভাবে? এদিন সে বিষয়েও জেরা করা হয় শেখ শাহজাহানকে। কিন্তু কোনও সদুত্তর ইডি পায়নি বলেই জানা গিয়েছে।