বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক :: রাস্তার ধারে বিক্রি হচ্ছিল ঘুগনি। প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘুগনি দেখে তিনি আর কাল বিলম্ব করেননি। পৌঁছে গিয়েছিলেন সেই দোকানের কাছে। এরপর সকলকে নিয়ে ঘুগনি খাওয়া। বৃহস্পতিবার সকালে এমনই ছবি ধরা পড়েছে পান্ডুয়ার শিখিরা চাপতা পঞ্চায়েতের বেলে গ্রামে।
ঘুগনি খেয়ে উচ্ছ্বসিত দিদি নম্বর ওয়ান। তিনি বলেই ফেললেন, এই ঘুগনি তাঁর বাড়ির রান্নার থেকেও ভালো। প্রচারে আসার পর থেকে তিনি খেয়েই যাচ্ছেন। তবে শুধু খাচ্ছেন না, অন্যদেরও খাওয়াচ্ছেন বটে। নিজেই মজা করলেন কিছুক্ষণ। তার মধ্যেই করে ফেললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ, ভোটের প্রচার।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে। বিজেপির থেকে প্রার্থী হয়েছেন এলাকারই বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই এক সময়ের টলিপাড়ার অন্যতম পরিচিত মুখ। একসঙ্গে ছবিও করেছেন। এবার রাজনীতির ময়দানে একে অপরের প্রতিপক্ষ।
এদিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছেন। রচনা বলেন, “আমি ছুটি নিয়ে আসিনি৷ আমি ওঁর মতো নই। ও তো ছুটি নিয়ে এসেছিল পাঁচ বছর আগে। আমি রাজনীতিতে নতুন। কিন্তু মন থেকে রাজনীতিটা করব তো।”
রচনা আরও বলেন, “আর মন থেকে যেটা করা হয়, সেখানেই জয়ী হওয়া যায়।” কিন্তু কেন এমন বললেন রচনা? দিন কয়েক আগে লকেট চট্টোপাধ্যায় কটাক্ষ করেছিলেন। ভোটের প্রচারে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ব্যস্ত। সেজন্য দিদি নম্বর ওয়ানের সেট থেকে তিনি ছুটি নিয়ে এসেছেন। হেরে ফিরে গেলে আবার দিদি নম্বর ওয়ান অনুষ্ঠান চলবে।
তৃণমূল প্রার্থীর একাধিক বক্তব্য সোশাল মিডিয়ায় এখন ভাইরাল। এর আগে হুগলিতে অনেক কারখানা দেখেছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। সম্প্রতি দই খেয়ে গরুর দুধের প্রসংশায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন৷ সিঙ্গুরের গোরুর প্রশংসা করেছিলেন রচনা। এই দুই বক্তব্যের ভিডিও এখন ভাইরাল।
এবার ঘুঘনি খেলেন প্রচারে বেরিয়ে। রচনা বলেন, “এখানকার দইও ভালো, ঘুগনিও ভালো।” এরপর মাঠে আলু তোলা হচ্ছে দেখে জমিতে নেমে যান। খেত মজুরদের সঙ্গে বসে গল্প করেন। পরে হুডখোলা গাড়িতে গ্রামে প্রচার করেন।