বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একার টার্গেট ৩৭০ টি আসন। বিভিন্ন রাজ্যে আলাদা আলাদা টার্গেট রয়েছে গেরুয়া শিবিবের।
সেই পরিস্থিতিতে উত্তর ভারতের কোনও কোনও রাজ্যে ক্লিন সুইপ করতে পারে তারা। আবার দক্ষিণে উল্টো ফল হতে পারে। এমনটাই উঠে এসেছে এবিপি নিউজ ও সিভোটারের সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায়।
এবিপি নিউজ ও সিভোটারের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, রাজস্থানের ২৫ টি আসনের সবকটিই পেতে পারে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেসের আসন প্রাপ্তির সম্ভাবনা নেই। ভোট শতাংশের নিরিখে বিজেপিতে রাজস্থানে পেতে পারে ষাট শতাংশ ভোট, অন্যদিকে কংগ্রেস পেতে পারে ৩৯ শতাংশ ভোট। অন্যরা পেতে পারে এক শতাংশের আশপাশে।
গুজরাতেও ক্লিন সুইপ করতে পারে বিজেপি। সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২৬ টি আসনের সবকটিই পেতে পারে তারা। সেখানেও কংগ্রেস খাতা খুলতে পারবে বলে উঠে আসেনি সমীক্ষায়। শতাংশের নিরিখে বিজেপি গুজরাতে ৬৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে। আর কংগ্রেস ও সহযোগীরা পেতে পারে ৩৫ শতাংশের আশপাশে ভোট। সেখানে অন্যরা পেতে পারে এক শতাংশ ভোট।
সমীক্ষায় বলা হয়েছে উত্তরাখণ্ডেও কংগ্রেস প্রতিযোগিতা থাকবে না। সেখানকার পাঁচটি আসনের সবকটিই পেতে পারে তারা। শতাংশের নিরিখে উত্তরাখণ্ডে বিজেপি পেতে পারে ৬৩ শতাংশ ভোট আর কংগ্রেস পেতে পারে ৩৫ শতাংশ ভোট।
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরের আরেক রাজ্য হিমাচল প্রদেশে রাজনীতি তোলপাড় হয়েছে। সেখানকার কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। সেই হিমাচল প্রদেশে বিজেপি চারটি আসনের সবকটিই পেতে পারে। অর্থাৎ সেখানেও বিজেপি খাতা খুলতে পারবে না। শতাংশের নিরিখে সেখানে বিজেপি পেতে পারে ছেষট্টি শতাংশ ভোট আর কংগ্রেস পেতে পারে তেত্রিশ শতাংশ ভোট। অন্যরা পেতে পারে এক শতাংশ ভোট।
হরিয়ানায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। সেখানকার সমীক্ষা অনুযায়ী, দশটি আসনেরর মধ্যে বিজেপি আটটি এবং অন্যরা দুটি আসনে জয় পেতে পারে। শতাংশের নিরিখে বিজেপি পেতে পারে ৫২ শতাংশ। কংগ্রেস ও সহযোগীরা পেতে পারে ৩৮ শতাংশ ভোট। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল দুই শতাংশ এবং অন্যরা আট শতাংশ ভোট পেতে পারে।
জম্মু ও কাশ্মীরে লোকসভার আসন রয়েছে পাঁচটি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিজেপি সেখানে দুটি আসন জিততে পারে। কংগ্রেস ও তাদের সহযোগীরা পেতে পারে তিনটি আসন। শতাংশের নিরিখে কংগ্রেস পেতে পারে ৪৪ শতাংশ, বিজেপি ৪২ শতাংশ পিডিপি ও অন্যরা সাত শতাংশ করে।
২০১৯ থেকে লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সেখানকার একটি আসনে বিজেপি জয় পেতে পারে। শতাংশের নিরিখে বিজেপি পেতে পারে ৪৪ শতাংশ, কংগ্রেস ৪১ শতাংশ এবং অন্যরা পেতে পারে ১৫ শতাংশ ভোট।
দক্ষিণের রাজ্যগুলির মধ্যে কেরলে নজর রয়েছে বিজেপির। একদিকে রাহুল গান্ধী যেমন সেখানে ওয়ানাড থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে সামিল হয়েছে, ঠিক তেমনই তিরুবনন্তপুরম থেকে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে কেরলের কুড়িটি আসনের সবকটি পেতে পারে কংগ্রেস। এবারও বিজেপিকে সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে হতে পারে। শতাংশের নিরিখে বিজেপি কেরলে পেতে পারে ২০ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেতে পারে ৪৫ শতাংশ এবং বামেরা ৩১ শতাংশ। অন্যরা পেতে পারে চার শতাংশ ভোট।
তামিলনাড়ুর ৩৯ টি আসনেও সমীক্ষা চালিয়েছে এবিপি নিউজ-সিভোটার। সেখানে দেখা গিয়েছে, কংগ্রেস ও সহযোগী ডিএমকে সবকটি আসনে জয়ী হতে পারে। অর্থাৎ কেরলের পরে তামিলনাড়ু থেকেও বিজেপির ঝুলিতে আসন যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শতাংশের নিরিখে কংগ্রেস পেতে পারে ৫৫ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে এআইএডিএমকে ২৮ শতাংশ, বিজেপি ১১ শতাংশ এবং অন্যরা ছয় শতাংশ ভোট।
এবিপি সিভোটারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই সমীক্ষার জন্য প্রায় ৪২ হাজার জনের সঙ্গে কথা বলেছিল। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে দশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমীক্ষাটি চলানো হয়েছিল। সমীক্ষায় ত্রুটি হতে পারে প্লাস-মাইনাস তিন থেকে পাঁচ শতাংশের মতো।