মদনমোহন সামন্ত, কলকাতা, ১২ মার্চ ২০২৪ : — রাজনৈতিক দলগুলি বিশেষত সরকার বিরোধী দলগুলি এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন ইলেক্টোরাল বন্ড ও শাসকদলের ভূমিকা এবং দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র তরফে তথ্য ধামাচাপা দেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা থেকে সত্য ফাঁস হয়ে যাওয়া থেকে নজর ঘোরাতে চার বছর আগে পাস হলেও সিএএ আইন লাগু করানো হল সদ্য। যাতে সিএএ নিয়ে চর্চা, বিরোধিতার আড়ালে চাপা পড়ে যায় ইলেক্টোরাল বন্ড বিষয়টি।
দেশের শীর্ষ আদালত বন্ডের বিষয়টি অসাংবিধানিক মনে করে এই সংক্রান্ত তথ্য সাধারণের জানার অধিকার আছে মনে করে জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করার জন্যই রায় দিয়েছেন। তবুও এই আবহে প্রত্যাশা মতোই দেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে সিএএ নিয়ে। সেটাই চাইছে সরকারপক্ষ বলে অভিমত অভিজ্ঞজনদের।
আজ সিপিআই(এমএল) লিবারেশনের পক্ষ থেকে সিএএ-এর বিরুদ্ধে ও দিল্লিতে নামাজ পড়ার সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর দিল্লি পুলিশের শারীরিক অত্যাচারের প্রতিবাদে মৌলালি মোড়ে বিক্ষোভ সভা হয়।
ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের সংবিধান বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে এই সভায় বক্তারা তাঁদের বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্য যাঁরা রাখেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন, কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক অতনু চক্রবর্তী, রাজ্য কমিটির নেতা বাসুদেব বসু, জেলা নেতা দিবাকর ভট্টাচার্য ও মলয় তিওয়ারি, মহিলা নেত্রী মমতা ঘোষ। সভার শেষ অংশে মৌলালি’র মোড়ে পথ অবরোধ করে সিএএ-এর বিজ্ঞপ্তি পোড়ানো হয়।