বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরও একবার কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মুখ পড়ল পুলিশ প্রশাসনের। সন্দেশখালি এলাকায় রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী সভা করতে পারবেন। আগামী ১০ তারিখ এই সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ কলকাতা হাইকোর্ট এই রায় জানিয়ে দিয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যেরআইনজীবীকে। সভা আটকাতেই কি নতুন করে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে? খোদ এই প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দু অধিকারী সভা করতে পারবেন। তবে সেজন্য কিছু নির্দেশ আদালতের পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১০ তারিখ তৃণমূল কংগ্রেস অন্যতম কর্মসূচি নিয়েছে। ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন সভার আয়োজন করা হচ্ছে। প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখবেন। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার ইস্যুতে এই সভা হবে। তৃণমূল কংগ্রেস ব্রিগেড সভা দিয়েই লোকসভা নির্বাচনে মাঠে নামবে। এমনই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী ওই দিনই সন্দেশখালিতে সভা করতে চেয়েছেন। ১০ তারিখ সন্দেশখালিতে সভা করার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আর্জি জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়।
সন্দেশখালিতে সভা করার পক্ষেই আজ শুক্রবার রায় দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাজ্য সরকারকে রীতিমতো প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন বিচারপতি। এই সভা করতে না দিয়ে কাকে রক্ষা করতে চাইছেন? রাজ্যকে প্রশ্ন বিচারপতির। আগে সুন্দরখালিতে কোনও গোলমাল না থাকায় সেখানে কোনওদিন ১৪৪ ধারাও ছিল না। কিন্তু মামলা করার আগেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এটা ইচ্ছাকৃত। আসলে সভা আটকাতেই এই ১৪৪ ধারা জারি। এটা অস্বীকার করবেন কী করে? আদালতের সোজাসাপটা প্রশ্ন রাজ্যকে।
বিকল্প যে জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে কোনও গোলমাল নেই। তাই সভা করতে দিতে হবে। অর্থাৎ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সন্দেশখালিতে সভা করতে পারবেন। তবে সেখানেও আদালত কিছু নির্দেশ দিয়েছে।
১০ মার্চ বেলা ১০ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই সভার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে সভা শুরু ও শেষ করতে হবে। সভা থেকে কোনওরকম উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখা যাবে না। ন্যাজাটের দক্ষিণ আক্রা তলায় নতুন সভার জায়গা চিহ্নিত হয়েছে।