বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভারতের স্টক মার্কেটের বেঞ্চমার্ক সেনসেক্স ও নিফটি ৫০ পাঁচ অগাস্ট সোমবার ইন্ট্রা ডে-তে তিন শতাংশের বেশি হ্রাস পেয়েছে। এই হ্রাসের পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ উঠে এসেছে।
শুক্রবার যেখানে বাজার বন্ধ হয়েছিল ৮০,৯৮১.৯৫-এ, সেখানে এদিন বাজার খোলে ৭৮,৫৮৮.১৯-এ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে তা আরও হ্রায় পেয়েছে ৭৮,৫৮০.৪৬-তে নেমে যায়। খুব তাড়াতাড়ি তিন শতাংশের বেশি নিম্নগামী হওয়ার রেকর্ড ভেঙে যায়। অন্যদিকে নিফটি ৫০শুক্রবার যেখানে ২৩,৯৪৮.৭৯ তে বন্ধ হয়েছিল, সেখানে এদিন তা ২৪,৩০২.৮৫-তে খোলে। এখানেও তিন শতাংশের বেশি নেমে যায় মার্কেট।
সোয়া এগারোটা নাগাদ বিএসসি সেনসেক্স ২.৭২ শতাংশ কমে ৭৮,৭৮১-এ গিয়ে নামে। অন্যদিকে নিফটি ৫০ ২.৭ শতাংশ কমে ২৪,০৫০ পয়েন্টে ছিল। সেই সময় মিডক্যাপ ও স্মলক্যাপ সূচকগুলি প্রায় ৪ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
উধাও ১৫ লক্ষ কোটি টাকা
বিএসইতে তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলির সামগ্রিক বাজার মূলধন আগের দিনের ৪৫৭ লক্ষ কোটি থেকে এদিন প্রায় ৪৪২ লক্ষ কোটিতে নেমে যায়। অর্থাৎ নিমেষে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা হারান।
স্টক মার্কেটে পতনের কারণগুলি
যে কারণগুলির জন্য এদিন ভারতীয় স্টক মার্কেটে গুরুতর আঘাত লাগে, তার মধ্যে রয়েছে-
মার্কিন বাজারে মন্দার আশঙ্কা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের এগিন তীব্র ধাক্কা দিয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত মাসে বেকারত্বের হার ৪.১ শতাংশের পরিবর্তনে তিন বছরের সর্বোচ্চ ৪.৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, অর্থনীতিবিদরা আগামী ১২ মাসে আমেরিকায় মন্দার সম্ভাবনা ১৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করেছেন। যে কারণে সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে ফেড রেট কমতে পারে।
আমেরিকা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইরান যে কোনও সময় ইজরায়েলের ওপরে হামলা চালাতে পারে। হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের হত্যার পরে ইরান প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
যে কারণে উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের উপস্থিতি জোরদার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা তেলের দাম বৃদ্ধিকে বেশি করতে পারে, যা কিনা বর্তমানে চারমাসের সর্বনিম্নে রয়েছে, কারণ চাহিদা কমে গিয়েছে।
জুনে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিক আয় বৃদ্ধিকে দুর্বল করেছে। নিফটি ৫০-র ৩০ টি কোম্পানির আয় ০.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও নেট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে।
ব্যাঙ্ক অফ জাপান তাদের বেঞ্চমার্ক সুদের হার বৃদ্ধি করেছে। যা মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের মূল্যকে বাড়িয়েছে। জাপানের নিক্কেই ২২৫-এর দাম কমেছে।