বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আইপিএলের মধ্যেই ভারতীয় দলের কোচ নিয়োগ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি কে হবেন এটা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। নতুন কোচের তালিকায় একাধিক দেশি-বিদেশি ক্রিকেট ব্যক্তিত্বের নাম ভাসছে। দৌড়ে ছিলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গারও। কিন্তু আইপিএলের লখনউ দলের কোচ এই দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
এই মুহূর্তে বিসিসিআই স্প্লিট কোচিংয়ের রাস্তায় হাঁটছে না। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর অবধি তিন ফরম্যাটের জন্য একজনই হেড কোচ নিয়োগের বিজ্ঞাপন বেরিয়েছে। এই তালিকায় জাস্টিন ল্যাঙ্গার, রিকি পন্টিং থেকে মাহেলা জয়াবর্ধনে যেমন রয়েছেন তেমন গৌতম গম্ভীর, আশিস নেহরার ওপরেও রয়েছে বোর্ডের নজর। কিন্তু রাহুলের পরামর্শ পাওয়ার পরই কোচের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ল্যাঙ্গার।
এই বিষয়ে কেএল রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। সেই প্রসঙ্গে লখনউ দলের কোচ বলেন, “আমি কেএল রাহুলের সাথে কথা বলছিলাম এবং তিনি বলেছিলেন যদি আপনি মনে করেন যে একটি আইপিএল দলে চাপ এবং রাজনীতি আছে, তাহলে এটিকে হাজার দিয়ে গুণ করুন, এটি ভারতীয় দলের কোচিং। এটি একটি ভাল পরামর্শ ছিল। ভারতীয় দলের কোচের চাকরি এই মুহূর্তে আমার জন্য নয়”
একইসঙ্গে জাস্টিন ল্যাঙ্গার আরও বলেন, ভারতীয় দলের কোচিং দুর্দান্ত কাজ, তবে আমি নিজেকে আপাতত এটা থেকে দূরে রাখব। আমি এটাও জানি এটা একটা বড় ভূমিকা হবে এবং অস্ট্রেলিয়ান দলের সঙ্গে চার বছর কাজ করার পর, সত্যি বলতে কি এটা ক্লান্তিকর হবে।’
২০২১ সালে টি২০ বিশ্বকাপের পর ভারতের হেড কোচ হন দ্রাবিড়। ২ বছরের চুক্তি ছিল। যা শেষ হয় গত বছর বিশ্বকাপের পর। যদিও টি২০ বিশ্বকাপ অবধি মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবে সম্মতি দেন দ্রাবিড়।
দেশীয় কোচ নিয়োগ করা হলে গৌতম গম্ভীর বর্তমানে বিসিসিআইয়ের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। আন্তর্জাতিকত স্তরে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা না থাকলেও গম্ভীর আইপিএলে মেন্টর হিসেবে যেভাবে কাজ করেছেন তা বিসিসিআই কর্তাদের মনে ধরেছে। তার উপর গম্ভীর সদ্য ক্রিকেট থেকে অসবর নিয়েছেন ফলে আধুনিক সময়ের সঙ্গে মানানসই।
অন্যদিকে, রিকি পন্টিং আইসিসিকে বলেছেন, ‘আইপিএল চলাকালীন কিছু কথাবার্তা হয়েছিল যে আমি এই পদে আগ্রহী কি না। আমি জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ হতে চাই তবে আমার জীবনে অন্য কিছু আছে এবং আমি পরিবারের কিছু সময় কাটাতে চাই…সকলেই জানে যে আপনি যদি ভারতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেন তবে আপনি আইপিএল দলে যোগ দিতে পারবেন না।’