বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আইএসএফ দল রাজ্যে বিজেপির বি টিম? ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করলেন৷ আইএসএফ জমিতে তৃণমূলের সভা ঘিরে যথেষ্ট চর্চা ছিল আগে থেকেই। নাম না করে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে আক্রমণ করলেন অভিষেক।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে ভাঙড় বিধানসভা। তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের হয়ে বৃহস্পতিবার সেখানে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙড় বিধানসভা এলাকা আইএসএফের দখলে। আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকী সেখান থেকে ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন।
সেই জমিতে গতকাল সভা করেন অভিষেক। তৃণমূলের এক সময়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলাম এখন জেলে। ফলে অন্য বিধায়ক শওকত মোল্লা এই সভার সম্পূর্ণ আয়োজন করেন। ভাঙড়ে এবার তৃণমূলকে ভোটে লিড দেওয়া, শওকত মোল্লার কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।
গতকাল সভামঞ্চ থেকে আইএসএফকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণ মানুষ ২০২১ সালে ধর্মের উস্কানিতে যাকে বিধানসভায় জিতিয়েছিলেন, তিনি আসলে বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছে। আইএসএফ বিধায়কের নাম নেননি তিনি।
এদিন অভিষেক বলেন, ” আমি বিধায়কের নাম মুখে আনব না। যাকে আপনারা তিন বছর আগে পাঠিয়েছিলেন তিনি বিজেপির বি টিম হয়ে কাজ করছেন।” সিএএ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করছেন। এদিকে এই বিধায়কের কোনও বিরোধিতা নেই। তৃণমূল নেত্রীর আন্দোলনে তিনি সামিল হননি। এই অভিযোগ করলেন অভিষেক।
ভাঙড়ের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করার কথা বলেছেন। সেই বিষয়ে অভিষেক জানান, যখন শুভেন্দু অধিকারী বুলডোজার ব্যবহার করে বাংলার সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই কথাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন এই ভাঙড়ের বিধায়ক।
কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদবপুর কেন্দ্রে এবারও তৃণমূলকে জেতাতে হবে। তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জেতাতে হবে। মানুষের কাছে আবেদন করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।