বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের তিনটি দফার ভোট হয়ে গিয়েছে। দেশের পাশাপাশি বাংলার গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কেন্দ্রে ভোট হয়েছে।

কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া তেমন বড় ঘটনার খবর নেই এখনও। আর এমন ছবি দেখে বাংলার নির্বাচনের প্রশংসা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) । ভোট যেভাবে বাংলায় হয়েছে তাতে খুশি কমিশন।

সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই বাংলার ভোট নিয়ে প্রশংসা করেন খোদ নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। বাংলার নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) মানেই আতঙ্কের ছবি সামনে আসে বারবার! পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এর অন্যথা হয়নি। অবাধ সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছেন মানুষ। এমনকি সাধারণ উপ নির্বাচনেও অশান্তির ঘটনা ঘটে।

সারা দেশের মধ্যে বাংলার ভোটে সবচেয়ে বেশি অশান্তির নজির রয়েছে। ফলে বাংলার নির্বাচন মানে কমিশনের কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ। আর তাই এবার নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। প্রায় ৯০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে বাংলায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

তিন দফা নির্বাচনের পরেই উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে বসেন রাজীব সিনহা-সহ নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলার তরফেও ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিফ আফতাব। মূলত কোন রাজ্যে কীভাবে ভোট হচ্ছে, ভোট পরিচালনায় কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়।

আর সেখানেই বাংলার ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে কমিশন। যেভাবে তিন দফায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলায় হয়েছে তা কমিশন সন্তুষ্ট বলে খবর। এমনকি যেভাবে আরিফ আফতাব ভোট পরিচালনা করছেন তাতে নির্বাচন সদন খুশি বলে জানা গিয়েছে।

বলে রাখা প্রয়োজন, তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল নির্বাচন কমিশন। এছাড়াও মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করে কমিশন। নির্বাচনে এই সমস্ত কেন্দ্র থেকে সবথেকে বেশি অশান্তির খবর আসে। কিন্ত্য এবার সেখানে কিছুটা ‘পরিবর্তন’ দেখা গিয়েছে।

যদিও এখন চার দফায় নির্বাচন রয়েছে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আসন রয়েছে। সেখানেও যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, প্রত্যেক দফায় আসন সংখ্যার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়ছে। আগামী চতুর্থ এবং পুঞ্চম দফায় রেকুর্ড বাহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছী কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *