বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় স্টিং অপারেশনকে হাতিয়ার করে শুভেন্দু অধিকারীকে কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূল কংগ্রেস। ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে সমালোচনায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক। আর এরপরই তাঁর ও আইপ্যাকের নামে সিবিআইয়ে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল।

শুভেন্দু নবদ্বীপে দাবি করেন, এই ভিডিও কয়লা ভাইপো তৈরি করেছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রতীক জৈন (যিনি আইপ্যাকের কর্তা, পশ্চিমবঙ্গে দায়িত্বে) এবং তমাল বলে একজন, যিনি আগে ইলেকট্রনিক চ্যানেলে ছিলেন, এখন পোর্টাল চালান। এ সব কেউ খাবে না। আইনগতভাবে এটা নিয়ে আমরা অনের দূর যাব।

শুভেন্দুর কথায়, ভিডিওতে যিনি কথা বলেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেই গঙ্গাধর কয়াল সিবিআইয়ের অফিসে গিয়ে ভাইপোর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়েই এই ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। সন্দেশখালির মুখ পীড়িত, নির্যাতিতা মহিলারা।

শুভেন্দু আরও দাবি করেন, পুলিশের কাছে এবং প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নেতৃত্বে হাইকোর্ট থেকে যে আইনজীবীরা গিয়েছিলেন তাঁদের কাছে মোট ৩৭৯টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। ২৩৯টি অভিযোগের ভিত্তিতে জমি ফেরতের কথা বলেছে সরকার। পুলিশ নিজে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে। সব কি তাহলে ভিত্তিহীন?

এরপরই শুভেন্দু তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, নির্বাচনে হারবে বলে এ সব করেছে। আমার খুব ভালো লাগছে বিরোধী দলনেতা পিসি-ভাইপোর পায়ে কাঁটা ফুটিয়েছে। তাতে তাঁরা তা ধিনধিন করে নাচছেন। আরও নাচাব। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন করে ছাড়ব। আলালের দুলাল যে কয়লা, বালি খায়, গরু পাচার করে মদের বোতল থেকে টাকা তোলে, চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা তোলে তাকেও জেলে পাঠাব।

শুভেন্দু দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি আপত্তিজনক ভাষা প্রয়োগ করছেন। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে লাভ হবে না। কারও নাগরিকত্ব যাচ্ছে না বলে মুসলিমরাও কিছু করছেন না। প্ররোচনা সত্ত্বেও রাস্তা নামেননি। মুখ্যমন্ত্রী ১৯ লক্ষ ইভিএম নিয়ে যে প্রশ্ন তুলছেন, তিনি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? খুঁজে বের করতে কোর্ট মনিটরিংয়ে অডিট চান।
এদিকে, গঙ্গাধর কয়াল এদিনই সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের কাছে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের মাধ্যমে ভিডিওটি বানানো হয়েছে। কণ্ঠস্বর তাঁর নয় বলে দাবি গঙ্গাধরের। সন্দেশখালির সিবিআই তদন্তকে বিভ্রান্ত করতে এই ভিডিও। যিনি সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর ঘাড়েই দোষ চাপানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এটি তৈরি হয়েছে।

বক্তার মুখ যাতে স্পষ্ট দেখা না যায় সে কারণে অন্ধকারে ভিডিও তোলা হয়েছে। ঠোঁটের সঙ্গে শব্দ মিলছে না। কয়েকটি জায়গায় অতিরিক্ত সাউন্ড ট্র্যাক দিয়ে কিছু কথা চেপে দেওয়া হয়েছে। উইলিয়ামস নামে যে চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা হয়েছে সেটি ৩ মে তৈরি করা। একটিই ভিডিও রয়েছে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কোনও উদ্দেশ্য নিয়েই এটি তৈরি করা হয়েছে। এক মহিলাকে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এরপর ভিডিও কিছুক্ষণ স্থির ছিল। কণ্ঠস্বরের বিকৃতি ঘটিয়ে জনমানসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *