বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সবে মাধ্যমিক পাশ করলো। বয়স তো ১৬/১৭ বছর। সেই বয়সে চন্দ্রচূড় এতো সুন্দর গুছিয়ে কথা বলতে পারে ভেবেও অবাক লাগে। স্বাভাবিক কারণেই সকাল থেকেই কোচবিহারের ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে চন্দ্রচূড়ের বাড়িতে সাংবাদিকদের ভিড়।

৬৯৩ পাওয়া চন্দ্রচূড়ের প্রথম প্রতিক্রিয়া “অধ্যাবশায়ের মধ্যে দিয়ে নিজের লক্ষ্যকে আত্মস্থ করা। সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করা।” কেবল মেধাবী নয়, চন্দ্রচূড় অত্যন্ত সুন্দর করে কথা বলে। চন্দ্রচূড় বলে, “যখন প্রেস কনফারেন্স চলছিল, আমি ঘরে ছিলাম না, দোতলায় চলে গিয়েছিলাম। যখন নামটা বলল, তখন বাবা-মাই আমাকে ডেকে আনে। আপ্লুত মুহূর্ত অবশ্যই।” চন্দ্রচূড় জানায়, “প্রথম পাঁচে থাকব, এটা ভাবছিলাম। এটা অবশ্য আমার থেকেও বেশি, যাঁরা আমার ওপর প্রত্যাশী ছিলেন, তাঁরা ভাবছিলেন। যাই হোক, তাঁদের প্রত্যাশা বিফলে যায়নি, তাতে আমি আনন্দিত।”

চন্দ্রচূড়ের এই সাফল্যর চাবিকাঠি কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, “সময়ানুবর্তিতা ছিল, তবে রুটিনমাফিক নয়। এরকম কোনও ব্যাপার ছিল না রোজ নির্দিষ্ট এই সময়ই পড়তে হবে।” এই সাফল্যের পিছনে কার কার ভূমিকা রয়েছে। সে প্রশ্নের উত্তরেই চন্দ্রচূড় বলেন. “রেজাল্ট, যেটাকে আমরা বলি একটা মূল্যায়নের পর প্রাপ্ত নম্বর, সেটা এক জন ছাত্রের পক্ষে একাকী সম্ভব হয় না। বাবা-মা, আত্মীয় পরিজন, স্কুলের শিক্ষক, গৃহশিক্ষক সকলের সম্মিলিত নিরলস অধ্যাবশায়, প্রচেষ্টা, সবকিছুই একটা ফলাফল হিসাবে ধরব এই সাফল্যকে। যদিও মাধ্যমিকই চূড়ান্ত নয়। আরও অনেক পথ চলা বাকি। তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করাই আমার অভিষ্ট।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *