বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল লোকেশ রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস।

টি২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি লোকেশ রাহুলের। তাঁর দলের কাছেই এদিন পরাস্ত টি২০ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা, সহ অধিনায়ক তথা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়ার দল।

টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান তোলে। চারটি চার ও দুটি ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ৪৬ করেন নেহাল ওয়াধেরা। তিনটি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ১৮ বলে অপরাজিত ৩৫ টিম ডেভিডের। ওপেনার ঈশান কিষাণ করেন ৩৬ বলে ৩২।

রোহিত শর্মা ৪, সূর্যকুমার যাদব ১০, তিলক বর্মা ৭, হার্দিক পাণ্ডিয়া শূন্য, মহম্মদ নবি ১ রান করে আউট হন। ১ রানে অপরাজিত থাকেন জেরাল্ড কোয়েটজি। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মহসীন খান। একটি করে উইকেট পান মার্কাস স্টইনিস, নবীন উল হক, ময়াঙ্ক যাদব ও রবি বিষ্ণোই।

ময়াঙ্ক চোট সারিয়ে আজকের ম্যাচে কামব্যাক করেন। কিন্তু ১৯তম ওভারের প্রথম বলে নবিকে আউট করার পরেই তিনি ফের চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন। তাঁর চোট কতটা গুরুতর, এবারের আইপিএলে আর খেলতে পারবেন কিনা তা স্পষ্ট নয় এখনও।
জবাবে খেলতে নেমে মার্কাস স্টইনিসের অর্ধশতরানে ভর করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। তিনে নেমে সাতটি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ৪৫ বলে ৬২ করেন স্টইনিস। টি২০ বিশ্বকাপ দলে ব্রাত্য লোকেশ রাহুল ২২ বলে ২৮ রান করেন। আরশিন কুলকার্নি অবশ্য প্রথম বলেই আউট হন।

দীপক হুডা ১৮, অ্যাশটন টার্নার করেন ৫ রান। দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন আয়ুষ বাদোনি। যদিও তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। শেষ অবধি ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লখনউ। নিকোলাস পুরান ১৪ বলে ১৪ ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ১ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন।
হার্দিক পাণ্ডিয়া ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। নুয়ান তুষারা, জেরাল্ড কোয়েটজি ও মহম্মদ নবির ঝুলিতে ১টি করে উইকেট। জসপ্রীত বুমরাহ ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেট পাননি। ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয়ের সুবাদে লখনউ সুপার জায়ান্টস ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দখলে নিল পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থান।

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট, রইল নবম স্থানেই। নেট রান রেট মাইনাস (-) ০.২৭২। বাকি চারটি ম্যাচ জিতলে সর্বাধিক ১৪ পয়েন্ট হবে। যা প্লে-অফে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ১২ পয়েন্ট কেকেআর ও লখনউয়ের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *