বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:তৃণমূলের নেতাদের ঘরে ঢুকতে হলে সেনা নামাতে হবে। সবকটা সন্ত্রাসবাদী। সিপিএম আমলে শাহজাহান পিস্তল নিয়ে ঘুরতো।
আর তৃণমূলের সময়ে একে ৪৭ নিয়ে ঘুরতো। শনিবার এভাবেই দুর্গাপুরে তার একান্ত নিজস্ব প্রাতর্ভ্রমণীয় রাজনীতির গোলা ছুঁড়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এদিন বেসরকারি কারখানা এবিএল মাঠে প্রাতর্ভ্রমণ সেরে একটি চায়ের দোকানে চা চক্র সারেন। সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে প্রশ্নের উত্তরে ধামাকা উত্তর দিয়েছেন । দিলীপ ঘোষ বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই প্রাতর্ভ্রমণীয় রাজনীতি দুর্গাপুরের বুকে এক অন্যমাত্রা এনে দিয়েছে।
তৃণমূলের অপর বিরোধী সিপিএম যদিও এই প্রাতর্ভ্রমণীয় রাজনীতির পথে যায়নি। লাল পকেট ছাড়া সিপিএমকে খুব একটা পরিশ্রম করতে দেখা যায়নি এখনো পর্যন্ত। তৃণমুল প্রার্থী কীর্তি আজাদ একদিন প্রাতর্ভ্রমণীয় রাজনীতির চর্চা করেছিলেন কিন্তু পরে রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। আসলে অফব্রেক বলে বিপক্ষের স্টাম্প উড়িয়ে দেওয়া কীর্তি আজাদ খুব একটা বাঙালি নাটুকে পলিটিক্সে দক্ষ নন বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সকালেই খইভাজা হচ্ছে গরমে তেঁতে উঠেছে। কিন্তু তার মধ্যে ঠান্ডা লস্যির স্বাদ এনে দিচ্ছে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের প্রাতর্ভ্রমনীয় রাজনীতি । সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানকে নিয়ে মন্তব্য করার সময় বিজেপি প্রার্থী বলেন ‘পুলিশ তো ওর কর্মচারী ছিল, আর ওর বাড়ি ছিল থানা। রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ক্যাম্প বানাতো , খরচ দিত জেলা পরিষদ। পরে লরিতে করে সারা রাজ্যে পাঠাতো।
তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি যারা ইডির উপর হামলা চালিয়েছিল সেই ২০০ জনই সন্ত্রাসবাদী। ওদের জেলে ঢোকানো উচিত। বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন ‘অস্ত্র উদ্ধার পুলিশ, আধা সেনা দিয়ে হচ্ছে না, কম্যান্ডো নামাতে হচ্ছে। রাজ্যটা সন্ত্রাসবাদীদের গড়ে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
হাইকোর্টের রায়ে এসএসসির চাকরিহারাদের উদ্দেশে তিনি বলেন ‘ বিজেপির সঙ্গে আসুন। বলুন কাদের টাকা দিয়েছেন। সেইসব নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করে টাকা আদায় করে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল অবশ্য দিলীপ ঘোষের কথায় খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। তৃণমুলের কথায়, মিডিয়ায় ভেসে থাকতে নানান সময়ে নানান কথা বলেন উনি। বর্ধমানে দলের লোকেরাই গো ব্যাক বলছে ওনাকে। ওঁর কথার কোন গুরুত্ব নেই।