বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:মালদহের সভা থেকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলকে দুর্নীতিগ্রস্ত, উন্নয়নে বাধাদানকারী, তুষ্টিকরণে অভিযুক্ত করেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্থানের কয়েকঘন্টা পরে তৃণমূল তাদের তরফে ‘ফ্যাক্ট চেক’ প্রকাশ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী মালদহের প্রচার সভায় নিশানা করেছিলেন বামেদেরও। প্রধানমন্ত্রী মোদী মালদহের সভা থেকে একসঙ্গে বাম-কংগ্রেস-তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন এদের শাসনে বিশ্বে বাংলার ভাবমূর্তি ও মর্যাদা নষ্ট হয়েছে। তিনি আরও বলেন এরা সবাই তুষ্টিকরণে ব্যস্ত। রাজ্যের উন্নয়নে প্রথমে বামেরা পরে তৃণমূল বাধা দিয়েছে। তৃণমূলের শাসনে বাংলায় হাজার হাজার কোটির কেলেঙ্কারি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দুর্নীতি করেছে তৃণমূল আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে জনগণকে। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন ছাব্বিশ হাজার মানুষ রুটি-রুজি হারিয়েছে এই তৃণমূলের জন্য। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল যুব সমাজের উন্নয়নের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তৃণমূল যুবকদের ভবিষ্যত নিয়ে খেলা করছে বলে অভিযোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বাংলায় টাকা ছাড়া একটা ইটও বসানো যায় না। তৃণমূল শুধু যুবকদের নয়, কৃষকদেরও রেহাই দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় ছিল যখন বাংলা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলা ছিল দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ইঞ্জিন। তিনি বলেন, সমাজ সংস্কার, বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি, দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা সবেতেই বাংলা পথ দেখিয়েছিল।
বিজেপিই বাংলায় উন্নয়ন করতে পারে, প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূল বলেছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকাার বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার ওপরে আটকে রেখেছে।
কৌশল বিকাশ যোজনা এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের মাধ্যমে যুবকদের ক্ষমতায়ন করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূল বলেছে, কৌশল বিকাশ যোজনা ২-এর প্লেসমেন্টের হার ২৩ শতাংশ আর কৌশল বিকাশ যোজনা ৩-এর প্লেসমেন্টের হার ৮ শতাংশ।
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল তৃণমূল আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প বাংলায় চালু করতে দেয়নি। এর জবাবে তৃণমূল অবশ্য বলেছে, এই প্রকল্পের ৪০ শতাংশ টাকা রাজ্যের দেওয়ার কথা। তৃণমূল সরকার রাজ্যের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে। যা আয়ুষ্মান ভারতে নেই। বাংলার হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসার কথাও বলেছে তৃণমূল।
প্রধানমন্ত্রী মোদী মালদহের প্রচার সভায় ফের সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করেন। পাল্টা তৃণমূল দাবি করেছে, রাজ্যের পুলিশই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।