বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে শোরগোল ফেলে দিল সন্দেশখালিতে। না, সেখানে ভোট নেই। কিন্তু নামাতে হলো ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডকে।

সিবিআই অভিযানে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে সন্দেশখালি থেকে। বিস্ফোরক উদ্ধারে নামাতে হয় এনএসজির রোবট। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পুলিশের একাংশের যোগসাজশ থাকার দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু বাঁকুড়ায় সভার পর বলেন, পুলিশই অস্ত্র ঢুকিয়েছে। ওখানকার এক পুলিশ আধিকারিক আমিনুল ইসলাম, এসপি মেহেদি হাসানরা সহযোগিতা করেছেন। অধিকাংশ অস্ত্র চিনে তৈরি। বাংলাদেশের সাতক্ষীরা থেকে তা এনেছে শেখ শাহজাহান।

শুভেন্দু আরও বলেন, মিনাখাঁয় আয়ুব গাজি, বাসন্তীর রাজা গাজি, জীবনতলায় শওকত মোল্লা, ফলতার জাহাঙ্গির খানের কাছেও এমন অস্ত্র মিলবে। দেশবিরোধী শক্তিদের পৃষ্ঠপোষক ও আশ্রয়দাতা হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এগুলি দিয়ে ওরা ভোট লুঠ করে। বাইকে গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট দেওয়ার অধিকার কাড়ে। পঞ্চায়েতে ১ কোটি ভোটার ভোট দিতে পারেননি।

নো ডিউ সার্টিফিকেট না থাকায় বীরভূমে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে যান। কিন্তু বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য দেবাশিসের আবেদন গ্রহণ করেননি। বলেন, তিনি দুঃখিত।এই মামলায় হস্তক্ষেপ করবেন না।

শুভেন্দু বলেন, এটা রাজনৈতিকভাবে পিসি-ভাইপো করেছে। ২ দিন আগে আমি জানতে পারি। তৃণমূলের ভেতরেই আমার লোক আছে। সে কারণেই দেবতনু ভট্টাচার্যের মনোনয়ন জমা করানো হয়। সব আসনেই প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী, প্রতীক পদ্মফুল। ফলে ব্যক্তি ফ্যাক্টর হবে না।

কুড়মি সম্প্রদায় বিজেপির ভোট ভাগ করার চেষ্টা করছে বলে ফের সরব হন শুভেন্দু। তিনি বলেন, কুড়মিদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত রিপোর্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বছরের পর বছর কেন্দ্রের কাছে পাঠাননি। ওঁর কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভাইপো বলে গিয়েছেন, কুড়মিরা তৃণমূলকে ভোট দেন না। ওঁদের ভোট চাই না। কিন্তু বিজেপির দরকার। তাই অজিত ও অনুপ মাহাত বিজেপির ভোট ভাগের চেষ্টা করছেন।
আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রার্থী বলেছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান। শুভেন্দুর কটাক্ষ, ৪৫ আসনে লড়ে প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি পুকুরে ইলিশ মাছ চাষের মতো। শুভেন্দু বলেন, জঙ্গল, জনজাতি, কুড়মিদের জমি কাড়ার অধিকার কারও নেই।

শুভেন্দু বলেন, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে সব জমি ফেরাবে। তৃণমূল জঙ্গল খেয়েছে। সুবর্ণরেখা, কংসাবতীর অস্তিত্ব আছে? প্রকৃতি মাকে ধ্বংস করছে। ৫টি বালিঘাট বৈধ হলে ৫০টাই অবৈধ। এখানকার কিছু লোককে নিয়ে ভাইপো ব্যবসা করছেন আর গরিব মানুষকে শেষ করছেন বলে মন্তব্য শুভেন্দুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *