বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:শুক্রবার সারা দেশের সঙ্গে বাংলায় ছিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। দার্জিলিং ছাড়াও রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাট আসনে নির্বাচন হয়।
কিন্তু শুক্রবার সকালের পর থেকেই সাধারণ মানুষের চোখ কার্যত ছিল নিউজ চ্যানেলের পর্দায়। প্রথমে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে অস্ত্রের খোঁজে সিবিআই-কেন্দ্রীয় বাহিনীর অভিযান। তারপরে সেখানে যায় এনএসজি।
শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত ওই অভিযান চলে। রোবট দিয়ে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করা এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সামনে আনার পরে এলাকা ছাড়ে সিবিআই-কেন্দ্রীয় বাহিনী-এনএসজি। এখানেই আপত্তি রাজ্যের শাসকদলের। তৃণমূলের অভিযোগ রাজ্যের পুলিশকে না জানিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। আর ভোটের দিন অভিযান চালিয়ে দলের ভারমূর্তির ক্ষতির চেষ্টা করা হয়েছে। যার প্রভাব ইভিএম-এ পড়তে পারে বলেও মনে করছে তারা।
শুক্রবার সিবিআই-এর তরফে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের ছবি প্রদর্শন করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর উদ্ধার হওয়া বিদেশি রিভলবারের এক-একদির দাম তিন থেকে চার লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার অস্ত্র উদ্ধার করা হয় শুক্রবার। সিবিআই-এর প্রশ্ন এইসব অস্ত্র কবে কেনা হয়েছিল? গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপরে হামলার পরে? নাকি তা ওই বাড়িতে আগে থেকেই মজুত করে রাখা হয়েছিল। নাকি ৫ জানুয়ারি ইডির ওপরে হামলার পরে ওই বাড়িতে অস্ত্র লুকনো হয়? এছাড়াও কোথা থেকে এই অস্ত্র কেনা হয়েছিল তাও জানতে চায় সিবিআই।
যদিও তৃণমূলের তরফে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে তাদের সংযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলছে, সিবিআই কিংবা এনএসজি সেই অস্ত্র রেখে, তারপরে উদ্ধার অভিযানে নামতে পারে। আবার তারাই প্রশ্ন করছে তাও যদি হয়ে থাকে, তাহলে রাজ্য পুলিশই বা সেই খবর পেল না কেন?
সব মিলিয়ে নির্বাচনের মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবারই তারা অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে এবং বিজেপির পক্ষে ভোট দিতে তাদের সামর্থ অনুযায়ী সবকিছু করছে। তারপরেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত নিয়ে তারা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।
চিঠিচতে তারা প্রশ্ন করেছে, রাজ্য পুলিশকে না জানিয়ে এই অভিযান কেন? এছাড়াও সিবিআই এনএসজিকে সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির ফাঁকা জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে। যা বেআইনি বলে দাবি করেছে রাজ্যের শাসকদল। নির্বাচনের সময় রাজ্যের শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এইসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। পাশাপাশি তারা নির্বাচন কমিশনে দেওয়া চিঠিতে নির্বাচনের সময় এই ধরনের অভিযান বন্ধেরও দাবি করেছে।