বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অস্ত্রোপচার সফল, মৃত রোগী। গার্ডেনরিচে বাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে হওয়া মামলায় পুরসভার জমা দেওয়া রিপোর্টের ওপর এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রসঙ্গত, এদিন গার্ডেনরিচ কাণ্ডে রিপোর্ট পেশ করে কলকাতা পুরসভা।


প্রধান বিচারপতি বলেন, খাতায়-কলমে দেখে সব ভালই লাগছে। কিন্তু আসলে কিছুই হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনিক সদিচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব, কিন্তু সেটা না থাকলে কিছুই হবে না।যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে যান তাহলে কিছুই হবে না, বলেন তিনি।

সরকারি আধিকারিকদের হাত বেঁধে রেখে তাদের যদি রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয় তাহলে কোনদিনই কিছু হবে না, বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ছবিতে দেখছিলেন, গার্ডেনরিচের ওই ঘটনাস্থলে আরও একটি হলুদ রঙের বাড়ি আছে। তার অবস্থাও ভাল নয়। কলকাতা পুরসভার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, কী করেছেন আপনারা ?

তিনি প্রশ্ন করেন, বিধাননগরে যে বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার কী হল? আপনারা বলছেন যে মানুষের প্রতিবাদের কারণে ভাঙা যাচ্ছেন না। অত্যন্ত দুঃখজনক পরিস্থিতি, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।

যেভাবে জমির চরিত্র পাল্টে দিচ্ছেন তা দেখে আদালত বিস্মিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। একটা ৪০ বছরের পুকুর বুজিয়ে দিয়ে বাড়ি করে বলা হচ্ছে ক্ষতিপূরণ হিসাবে আরেকটি জলাশয় বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা হয় ? একটা বড় জলাশয় বুজিয়ে ছোট্ট একটা জলাশয় বানালে কি ক্ষতিপূরণ হয় , প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি বলেন, আবারো এই ধরনের বেআইনি নির্মাণ হবে, আবারও লোক মারা যাবে, কিছু লোককে গ্রেফতার করা হবে, তারা দশদিন পর জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও সেই কাজ করবে, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। তিনি আরও বলেন, আইন -কানুন যাই থাকুক না কেন রাজ্যের সদিচ্ছা না থাকলে কিছুই হবে না।

এদিন প্রধান বিচারপতি গার্ডেনরিচ কাণ্ডে মৃতদের প্রত্যেককে ৫ লাখ এবং আহতদের দেড় লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রেজিস্ট্রার অফ অ্যাসুরেন্স বৈধ অনুমোদন নেই এমন নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তিকে ধরনের সেল ডিড কিংবা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দিতে পারবেন না, অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানান প্রধান বিচারপতি।
পাশাপাশি এলাকার কাউন্সিলর শামস ইকবাল এবং গ্রেফতার হওয়া প্রোমোটারকে মামলা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে নয় মে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *