বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভোটের মাঝে বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের। ব্যালট নয় ইভিএমেই হবে ভোট। ভিভিপ্যাট ১০০ শতাংশ যাচাইয়ের সব আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ভোটের পর ইভিএম ৪৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

 

ভিভিপ্যাটে অতিরিক্ত ভোট পড়ছে দেখা যাচ্ছে অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক আইনজীবী। তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভোটের আগে থেকেই বিরোধী দলের নেতারা অভিযোগ করেছিলেন ভিভিপ্যােট গলদ রয়েছে। তাঁরা দাবি করেছিলেন ভিভিপ্যাট স্লিপ আলাদা করে নিয়ে সেগুলি গননা করতে হবে।

কিন্তু সেটা করতে গেলে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে। তারপরেই পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছে ভিভিপ্যাট স্লিপ ভোটের ৪৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। গণনার সময় নির্বাচনী প্রতিনিধিদের সামনেই রাখা হবে। কোনও সমস্যা থাকলে তখন খতিয়ে দেখা হবে। সুপ্রিম কোর্ট শুনানিতে জানিয়েছে, আমরা আর ব্যালট পেপারে ফিরতে পারি না।

আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে ছিল মামলার শুনানি। গত ১৮ এপ্রিল মামলার শুনানিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। ইভিএম ঠিক মতো কাজ করছে কিনা। ভিভিপ্যাটের সঙ্গে তার সামিঞ্জস্যে কোথাও কোনও গড়মিল রয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিওয়া হয়েছিল কমিশনকে। কমিশন সেটা খতিয়ে দেখে ২ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করে আদালতে।
তারপরেই আজ দ্বিতীয় দফার ভোটের দিন সুপ্রিম কোর্ট ভিভিপ্যাটের ১০০ শতাংশ যাচাইয়ের সব আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে ভোটের ৪৫ দিন পর্যন্ত ভিভিপ্যাট সিল এবং সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর প্রার্থী চাইলে নির্ধারিত ইঞ্জিনিয়ারদের সহযোগিতায় ইভিএম পরীক্ষা করে দেখতে পারে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইভিএমে কোনও ভাবেই কারচুপি করা সম্ভব নয়। ভিভিপ্যাট এবং ইভিএম দুটি যন্ত্রেরই আলাদা করে মাইক্রো কন্ট্রোলার রয়েছে। সেগুলি কোনও ভাবেই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত নয়। এবং এগুলিতে কারচুপি করা সম্ভব নয় কোনও ভাবেই প্রতিটির আলাদা করে প্রোগ্রাম রয়েছে। সেগুলি লোড করা থাকে। মামলাকারী আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ দাবি করেছিলেন, নির্বাচন কমিশন ভুল কথা বলছে। পুরো সঠিক তথ্য তারা দিচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *