বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছিল রাজভবনে। শেষে ভোটের মধ্যেই মিটল সেই টানাপোড়েন। রাজ্য সরকার মনোনিত প্রার্থীকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
গত ৩ মাস ধরে উপাচার্যহীন হয়ে পড়ে ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ব়্যাগিং কাণ্ডের পর বুদ্ধদেব সাউকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে বসিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি রাজ্যপালের অনুমতি না নিয়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান করায় তাঁকে সেই পদ থেকে সরতে হয়েছিল। তারপর থেকে ফাঁকাই পড়েছিল পদটি।
হঠাৎ করে বুদ্ধদেব সাউকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গেও বিরোধ তৈরি হয়েছিল রাজ্যপালের। এমনকী পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত মামলা গড়ায়। শুধু যাদবপুর নয় রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও টানাপোড়েন চলছিল রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের।
শেষে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে রাজ্যের মনোনিত বা প্রস্তাব করা তালিকা থেকেই বাছাই করে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে রাজ্যপালকে। সেই নির্দেশের পর রাজ্য সরকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের জন্য ভাস্কর গুপ্তর নাম প্রস্তাব করে। কোনও প্রশ্ন না তুলেই আদালতের নির্দেশ মতো সেই নামে সিলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স এবং টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক ভাস্কর গুপ্ত। সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ট্যুইট করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সঙ্গে তিনি ভাস্কর গুপ্তকে এই পদের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তবে রাজ্যের আর ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জটিলতা এখনও কাটেনি। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন হয়তো বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলিও তাঁদের উপাচার্য পেয়ে যাবেন।