বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি আসলে রাজ্য সরকারের সৌজন্যেই হয়েছে। রাজ্য সরকারের স্পনসর স্ক্যাম এটি। দেশের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার সোমবার এই মন্তব্য করলেন।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি গেল। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারে ‘পদত্যাগ’ করা উচিত। দাবি করলেন বাঁকুড়ার এবারের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এসএসসির ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ বাতিল করা হচ্ছে। এছাড়াও ‘মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরি বৈধ বলে গণ্য হওয়া উচিত নয়।’ আদালতের তরফে এই কথাও জানানো হয়েছে।
এসএসসি রায় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঐতিহাসিক’। বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক ও গ্রুপ সি ও ডি কর্মীদের চাকরি চলে গেল। এই ঘটনায় বার্তা গেল ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া ও দেওয়া দু’টোই সমান অপরাধ। ভবিষ্যতে মানুষ এই সব থেকে বিরত থাকবে। এছাড়াও ইতিপূর্বে পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জেলে। এখন আদালতের নির্দেশে এত জনের চাকরি গেল।
হাইকোর্টের এই রায়ের পরে অনিশ্চিত হয়ে গেল অনেক পরিবার। যারা চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের অনেকে বিয়ে করেছেন। ব্যাঙ্কের থেকে লোন নিয়ে বাড়ি করেছেন, ফ্ল্যাট কিনেছেন। এখন সকলের সব শেষ। এই পরিস্থিতি তৈরির জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। দাবি করলেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত৷ বিজেপির পক্ষ থেকে সব অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি। যদি প্রতারিত মেধার কেউ থাকেন, যাদের চাকরি চলে যাচ্ছে, তাদের বিষয়টাও আদালতে দেখা দরকার। সমস্ত ঘটনার দায় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন শমীক ভট্টাচার্য।