বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা চলছে, শুভেন্দু অধিকারীর বোমা তত্ত্ব নিয়ে। সপ্তাহের প্রথমেই এমন বোমা পড়বে, যাতে বেসামাল হবে তৃণমূল। এই মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু।

গতকাল সকালেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে ২০১৬ সালে এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল হলো। চাকরি গেল প্রায় ২৬ হাজারের।

এরপরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শুভেন্দু অধিকারী আজ বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী জনসভায় এই প্রসঙ্গে সরব হন। বলেন, ঐতিহাসিক রায়ে যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে তাঁদের নিয়ে মন্তব্য নেই। কিন্তু দোকান খুলে এঁদের চাকরি বিক্রি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সাগরেদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শুভেন্দু বলেন, ৩০ লক্ষ মেধাযুক্ত কর্মপ্রার্থীর সর্বনাশ যারা করেছে আজ ডিভিশন বেঞ্চে তাদের সর্বনাশ হয়েছে। রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলব, আরও কি প্রমাণের অপেক্ষা আছে? এতদিন আমি, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষরা বলতাম। আজ ডিভিশন বেঞ্চ বলল তোমরা ২৬ হাজার চাকরি চুরি করেছ। ৩০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর পিঠে ছুরি মেরেছো।
শুভেন্দু আরও বলেন, চাকুলিয়ায় উন্মাদের মতো চিৎকার করছেন চোরদের রানি মমতা। বলছেন, রায় মানি না। আপনাকে মানতে হবে না। আপনাকে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে হারিয়েছি। আমি আর ড. সুকান্ত মজুমদার দুই ভাই মিলে আপনাকে প্রাক্তন করে ছাড়ব।

কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, সুপারনিউমারি পোস্ট তৈরির বিষয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। শুভেন্দুর কথায়, এটা আসলে বাড়তি পোস্ট তৈরি। এটা যারা করেছিল সিবিআই তাদের কাস্টডিতে নিতে পারে। চোরদের রেগুলারাইজ করতেই ছিল এই পদক্ষেপ, যা মমতা করেছেন।

এরপর সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, ২০২২ সালের ৫ মে এই সুপার নিউমেরিক পোস্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল ক্যাবিনেট মিটিংয়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। ফলে সেই মিটিংয়ে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন সেই মন্ত্রী, আধিকারিকদেরও সিবিআই হেফাজতে নিক, এমনটাই আমার দাবি।

শুভেন্দু জানান, তাঁর কাছে সেই মন্ত্রিসভার বৈঠকের ক্যাবিনেট নোট রয়েছে যেখানে ওই বিতর্কিত পদ তৈরি করা হয়েছিল। প্রয়োজনে তা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের রায় মেনে সকলকে কাস্টডিতে নেওয়া যায়। শুভেন্দুকে এদিনও মমতা ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। যার পাল্টা শুভেন্দু বলেন, আপনার দল তৈরির আগে আমি ১৯৯৫ সালের কাউন্সিলর। আপনি রাজনীতিতে আসার আগে আমার পিতৃদেব শিশির অধিকারী ১৯৮২ সালে প্রথম বিধায়ক হন। ফলে মুখ সামলে কথা বলবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *