বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভোটের মুখে বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। আর এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

দুর্নীিতর অভিযোগে তিনি জেলে থাকলেও তার কৃতকর্মের ফল পার্টি এবং সরকারকে ভোগ করতে হচ্ছে। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।

সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাত হাইকোর্ট। তাতে প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি গিয়েছে। শুধু তাই নয় আগামী ২ মাসের মধ্যে তাঁদের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলে জানিয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদ।

আদালতের এই রায়ের পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন গুটি কয়েক লোকের পাপের ফল ভোট করছে গোটা পার্টি। রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন গুটি কয়েক লোকের জন্য ভোটের মুখে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। তারা ঔদ্ধত্যের সঙ্গে পাপ করে গিয়েছে। আর তার দায় নিতে হচ্ছে সরকার এবং পার্টিকে। আশ্চর্যের কথা তারা এই পাপটি ধারাবাহিক ভাবে করে গিয়েছেন। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন কুণাল ঘোষ।

কুণাল ঘোষ আরও বলেছেন, অনেক আগেই এই দুর্নীতি বন্ধ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা না হওয়ায় এখন ভোটের মুখে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের পরীক্ষার প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

ভোটের আগে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় নিঃসন্দেহে একটা বড় ধাক্কা রাজ্য সরকার এবং শাসক দলের কাছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এতোজনের চাকরি যাওয়ার দায় রাজ্য সরকারের নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্যরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত শুক্রবারই শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সামনে এমন একটি বোমা ফাটবে যে রাজ্য সরকার বেসামাল হয়ে যাবে।

যদিও হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে পর্ষদ এমনই জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন। লোকসভা ভোটের আগে এই রায় যে নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা ঘটাবে রাজনৈতিক মহলে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। একদিকে দুর্নীতির চাপ অন্যদিকে কয়েকহাজার চাকরি যাওয়ার চাপ দুয়ে মিলে ভোটের আগে চরম চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *