বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে বাংলায়! কুয়াশায় ঢাকা দিল্লি সহ গোটা উত্তর ভারত। একই সঙ্গে বইছে প্রবল ঠান্ডা হাওয়া। একেবারে হাড় কাঁপুনি অবস্থা। আগামী কয়েকদিন এই অবস্থা বজায় থাকবে বলেই জানাচ্ছে মৌসম ভবন (IMD Weather Update)। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ১৪ তারিখ ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জানুয়ারির মধ্যে ঘন থেকে খুব ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে তা হরিয়ানা এবং চণ্ডীগড়ের বেশ কিছু অংশে এই অবস্থা (Weather Update Today) বজায় থাকবে বলে জানানো হয়েছে. অন্যদিকে জমিয়ে ঠাণ্ডা পড়েছে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে। ক্রমশ তাপমাত্রা নীচের দিকে নামছে গঙ্গোত্রীতে। ঠান্ডার হাত থেকে এখনই রেহাই পাবেন না দিল্লি অর্থাৎ রাজধানীর মানুষও।
আজ অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশায় (Weather Update Today) ঢাকা ছিল রাজধানী। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত এমন অবস্থা জারি থাকবে। দিল্লি-এনসিআরে আজ শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে কুয়াশার কারনে একাধিক ট্রেন অস্বাভাবিক দেরীতে চলছে। এমনকি বিমান ওঠানামাতেও ব্যাপক সমস্যা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক পড়ে ছেড়েছে বেশ কিছু উড়ান। মৌসম ভবনের তরফে জারি করা পূর্বাভাস অনুযায়ী, শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
আর সেজন্যে দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা-চন্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থানের অধিকাংশ এলাকা, উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অংশে নুন্যতম তাপমাত্রা 3-7°C এর কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে একই হাল বাংলাতেও। পৌষের বিদায় বেলায় জমিয়ে ঠান্ডা। একই সঙ্গে বইছে ঠান্ডা হাওয়া। আলিপুর দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মরসুমে আজ শনিবারই কলকাতার শীতলতম দিন।
মহানগরের তাপমাত্রা নামল ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কনকনে শীত বাংলার অন্যান্য জেলাগুলিতে। বিশেষ করে মকর সংক্রান্তীর ঠিক আগে শীতের দাপট অব্যাহত বাঁকুড়ায়। গত শুক্রবার এই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসেলিয়াস, শনিবার তা সামান্য বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কোথাও কোথাও ৭-৮ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে পারদ। তবে এই দফাতে শীতের আয়ু সাময়িক বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবীদরা। তাদের কথায়, মাঘের শুরুতেই বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বাংলায়। এর ফলে ঠান্ডা কমতে শুরু করবে, চড়বে পারদ। অস্বস্তি বাড়বে সাধারণ মানুষের।