বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
অযোধ্যা সেজে উঠেছে সুন্দর করে। চারিদিকে আলোর মালা। যেন নতুন কনে। অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুতে কোনও কসুর করেনি যোগী সরকার। জানলে অবাক হবেন অযোধ্যাকে আলোর ভরিয়ে দিয়েছে বাংলা। পশ্চিমবঙ্গের আলোর সজ্জায় সেজে উঠেছে অযোধ্যা।
আমরা সবাই জানি হুগলির চন্দননগর আলোক সজ্জার জন্য বিখ্যাত। সেই চন্দন নগর থেকে আলো নিয়ে যাওয়া হয়েছে অযোধ্যাকে সাজিয়ে তুলতে। এখ আলোয় ঝলমল করছে অযোধ্যা। এমনকী রামলালার মন্দিরও সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই আলো দিয়েই। প্রায় ২ কোটি টাকার আলো চন্দর নগর থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবং চন্দননগরের আলোক শিল্পীরাই দেড় মাস ধরে ধাপে ধাপে অযোধ্যাকে আলোয় ভরিয়ে দিয়েছেন।
প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জা দেখতে চন্দননগরে ছুটে যান পর্যটকরা। জগদ্ধাত্রী পুজোর থেকেও আলোকসজ্জার উপর আকর্ষণ থাকে সবচেয়ে বেশি। সেই আলোকসজ্জা দেখতে বিদেশিরাও উপস্থিত হন চন্দননগরে। এবার একেবারে অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছে সেই আলো। গোটা বিশ্ব এবার চন্দনগরের আলোক সজ্জা দেখবে অযোধ্যার মাটিতে। অবশ্যই এটা আলোকশিল্পীদের কাছে বড় বিষয়।
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে এখন শেষ মুহূর্তের টাচআপ চলছে। কোথাও কোনও গলদ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েেছ। ২২ তারিখ আলোর বন্যায় ভাসবে অযোধ্যা নগরী। রামলালার নিজগৃহে প্রত্যাবর্তনের আনন্দে দীপাবলি উদযাপিত হবে অযোধ্যায়। এই চন্দননগরের আলোতেই সেই দীপাবলি হবে অযোধ্যায়। আজ এবং আগামী কাল মন্দির বন্ধ থাকবে। এই ২ দিন মন্দিরের ভেতরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগের পুজো হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ইতিমধ্যেই পুরো এলাকা ঘুরে দেখেছেন। শেষ মুহূর্তে কোনও আয়োজনের খামতি থেকে গেল কিনা সেটা খতিয়ে দেখেছেন তিনি।