বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি এখন চরমে। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছে দেশি ঘিয়ের তৈরি লাড্ডু। তাও এক বা দুই কেজি নয়। একেবারে ১৩ লক্ষ লাড্ডু তৈরি হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায়। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিনেই সেই লাড্ডু বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ হিসেবে।
অযোধ্যার কাছে করসেবকপুরমে তৈরি হয়েছে এই লাড্ডু গুলি। ছোটি চাবনি বিল্ডিংয়ে তৈরি হচ্ছে সেই সব লাড্ডু। রীতিমতো লাড্ডু ফ্যাক্টরিতে পরিণত হয়েছে সেটি। বিশাল বিশাল থালার মধ্যে সাজানো রয়েছে সেই সব লাড্ডু। বিল্ডিংয়ের ফ্লোরিং জুড়ে কেবল লাড্ডুর থালা থরে থরে সাজানো। প্রায় সাড়ে তেরো লক্ষ লাড্ডু মহা প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হবে ৮০০০ আমন্ত্রিতকে।
অযোধ্যার রাম মন্দির উপলক্ষ্যে ২২ জানুয়ারি ১১,০০০ আমন্ত্রত আসবেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে। ২২ জানুয়ারি সাধারণ পুণ্যার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ২৩ জানুয়ারি থেকে সাধারণ পুণ্যার্থীরা মন্দির দর্শনে যেতে পারবেন। সেদিন থেকে এই মহাপ্রসাদ দেওয়া হবে। সাতটি করে লাড্ডু দিয়ে একটি করে প্রসাদ দেওয়ার প্যাকেট তৈরি করেছে আরএসএস, ভিএইচপি। স্টিলের টিফিন বক্সে করে সেগুলি মহা প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হবে।
দিন রাত এক করে শ্রমিকরা এই লাড্ডু তৈরি করেছে। সেগুলিকে সুন্দর করে স্টিলের টিফিন বস্কে করে দেওয়া হবে। কাজেই সবরকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। অযোধ্যায় পুণ্যার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে একাধিক কাজ করেছে যোগী সরকার। ব্যাটারি চালিত রিকশা থেকে শুরু করে গলফ গাড়ি, ইলেকট্রিক বাস সব পরিষেবাই রয়েছে। যাঁরা হাঁটতে পারবেন না তাঁদের জন্য হুইল চেয়ারের বন্দোবস্তও করা হয়েছে।
গতকাল সকালে রামলালাকে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে বসানো হয়েছে। তার ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ৭২ বছর ধরে পুজো করা রামলালার পুরনো মূর্তিটি তার সামনে বসানো থাকবে। সেগুলি খুবই ছোট ৬ ইঞ্চির। আর নতুন কালো পাথরের রাম লালার মূর্তিটি ৬ ফুট লম্বা। সেটি গর্ভগৃহের বেদিতে বসানোর পর ৮ ফুট হয়ে গিয়েছে। দূর থেকে যাতে ভক্তরা তাঁর দর্শন পেতে পারেন সেকারণে এতোটা উঁচু করে করা হয়েছে মূর্তিটি।