বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস। ইন্ডিয়া জোট বিভিন্ন রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে শীঘ্র আলোচনা শুরু করবে বলে স্থির হয়েছে।

এরই মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দলের সেকেন্ড ইন-কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইট শোরগোল ফেলে দিল। যাতে ইঙ্গিত, কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় নাও যেতে পারে তৃণমূল।

অসমের নর্থ কাছাড় হিল অটোনমাস কাউন্সিলের নির্বাচনের ফলাফল বেরিয়েছে। নির্বাচনের আগেই ২৮টির মধ্যে ৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। ২২ আসনে ভোট হয় ৮ জানুয়ারি। বিজেপি সবমিলিয়ে জিতেছে ২৫টি আসনে। তিনটি গিয়েছে নির্দলের ঝুলিতে, যার মধ্যে ২ জন বিজেপির বিদ্রোহী নেতা রয়েছেন।

কাউন্সিলে ৩০টি আসন। ২টি মনোনীত। কংগ্রেস ২০১৯ সালে ট্রাইবাল কাউন্সিলের ভোটে ২টি আসনে জিতেছিল। এবারের নির্বাচনে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, অসম গণ পরিষদের থেকেও কেউ জিততে পারেননি এবারের নির্বাচনে। কাউন্সিলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান বিরোধী দল হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছিলেন সুস্মিতা দেব। কিন্তু তৃণমূল আসন পায়নি একটিও।

৮৫.৭৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন। আসন না পেলেও প্রাপ্ত ভোটের হারে উজ্জীবিত তৃণমূল কংগ্রেস। এইসব এলাকার মানুষজনের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয়ের কথাও শুনিয়েছেন সুস্মিতা দেব। আজ এই ভোটের ফলাফল নিয়ে কংগ্রেসকে বিঁধলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা আজকের ভার্চুয়াল বৈঠকের পর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়া জোটের চেয়ারম্যান হওয়া কার্যত নিশ্চিত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের। তবে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী যে তিনি হবেন তা বলা যাচ্ছে না। তারই মধ্যে অসমের নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে বাংলায় আসন ভাগাভাগির যোগসূত্র টেনে অভিষেক এক্স হ্যান্ডলে যে টুইটটি করেছেন তা কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ানোর পক্ষে যথেষ্ট।

অভিষেক টুইটে জানিয়েছেন, অসমের এনসিএইচএসি নির্বাচনে প্রথমবার লড়েই প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল ১১টি আসনে লড়ে ১২.৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। সেখানে কংগ্রেস ২২টি আসনে লড়ে মাত্র ৮.৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
যে আসনগুলিতে বিভিন্ন দল লড়েছে তার ভিত্তিতে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ৫৫.৫২ শতাংশ, নির্দলদের ৩৬.০৪ শতাংশ, আপ পেয়েছে ০.৫৫ শতাংশ। সামগ্রিক আসনের ভিত্তিতে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট একই থাকলেও নির্দলরা পেয়েছে ২৬.০১ শতাংশ, তৃণমূল ৭.৬৩ শতাংশ, কংগ্রেস ৮.৮৭ শতাংশ, আপ ০.২২ শতাংশ।

অসমে কংগ্রেস সরকার ছিল। এখন তারা প্রধান বিরোধী দল। তা সত্ত্বেও সেখানে নিজেদের জমি
ধরে রাখতে পারছে না কংগ্রেস, এমনটাই জানিয়েছেন অভিষেক। এই আবহে বাংলায় আসন ভাগাভাগিতে বেশি আসনের প্রত্যাশা যে তারকাদের কথা ভেবেই তা স্পষ্ট। যদিও খাসতালুকেই তাঁরা পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক।

অভিষেকের এই টুইটের পরেই চর্চা শুরু হয়েছে, তাহলে কি বাংলায় আসন ভাগাভাগি প্রশ্নে তৃণমূল কি কংগ্রেসকে কোনও আসন ছাড়বে না? রাজনৈতিক মহলের খবর, প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, কংগ্রেসের কিছু কর্মসূচিতে অসন্তোষ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। প্রথমদিকে খান দুই আসন কংগ্রেসের জন্য ভেবে রাখা হলেও পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে ৪২ আসনেই প্রার্থী দিতে পারে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *