বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

হাওড়ার সাঁকরাইলে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় লাগল রাজনীতির রং। বিজেপিকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখপাত্ররা।

যে দম্পতি গাঁজা মজুতের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁরা বিজেপির নেতা-নেত্রী বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হাতিয়ার করেছে বিজেপির শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তাঁদের ছবি।

হাওড়ার সাঁকরাইলে আজ হাওড়া সিটি পুলিশের বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হয় বেশ কয়েক কেজি গাঁজা। অভিযোগ, বছর দশেকেরও বেশি সময় ধরে এক ব্যক্তি ওই বেআইনি কারবার চালাচ্ছিলেন। নিমাই রায় নামের ওই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিমাইয়ের স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধৃত দম্পতি বিজেপির সক্রিয় নেতা বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাঁকরাইলের কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, অমিত মালব্যর সঙ্গে যেমন ধর্ষকের যোগ রয়েছে, তেমনই এবার মাদক কাণ্ডেও বিজেপি-যোগ সামনে এলো।
তৃণমূল কংগ্রেসের আরও দাবি, ধৃত দুজন বিজেপির নানা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকেছেন। শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, স্বপন দাশগুপ্তদের সঙ্গেও তাঁদের দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ধৃতদের যোগ রয়েছে। শুভেন্দুর আচরণও সংশয়ের। ফলে তাঁর রক্তপরীক্ষা করা প্রয়োজন।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জবাবদিহিও তলব করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, বিজেপি মাদক মজুত করে। পাচার করে। বিজেপি মহিলাদের প্রতি অপমানকর কথা বলে। মহিলাদের কটূক্তি করে, ধর্ষণ করে, ধর্ষকদের ব্যবহার করে বিজেপি। আজ কান্দুয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য রূপা রায়ের বাড়ি থেকে ৪১ কেজি ২০০ গ্রাম মাদক উদ্ধার হয়েছে।

পুলক রায় আরও বলেন, রূপা রায়ের স্বামী নিমাই বিজেপির কিষাণ মোর্চার হাওড়া সদরের সহ সভাপতি। এর আগেও বিজেপির যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী কোকেন-সহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। ফলে বিজেপি এ কাজে নতুন তা নয়। এটাই বিজেপির আসল মুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *