বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছেন, সন্দেশখালির ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন শাহজাহান শেখ।

যদিও রাজীব কুমারের বক্তব্যকে আমল দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় নিজের ঘরে দাঁড়িয়ে তিনি দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পরিকল্পনার কথা প্রতি মুহূর্তে চলে আসছে তাঁর কাছে।

রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের বাড়ি তল্লাশিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যম। শাহজাহান অনুগামীদের দিয়ে এই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ। শুভেন্দুর দাবি, শাহজাহান শেখকে এখন বোঝানোর কাজ চলছে। যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন শাহজাহানের সঙ্গে মোবাইল ছিল না।

শুভেন্দু আরও দাবি করেছেন, শাহজাহান বাংলাদেশে পালাতে পারেননি। তিনি যে সন্দেশখালিতেই ছিলেন সেই তথ্য তাঁর কাছে আছে। শুভেন্দুর কথায়, শাহজাহানের সঙ্গে ঘটনার দিন জুনেইদ খান বলে একজন ছিল। তাঁর মোবাইলে সন্ধ্যায় ‘ভাইপোর পিএ’ ফোন করে বলেন, “সরে যাও, বিপদ আছে।”

চারদিক থেকে চাপ ও সরকারি এজেন্সিগুলির তৎপরতা, সেইসঙ্গে লোকসভা ভোটের আগেই এই ঘটনা জনমতে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই ‘প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির মালিক’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের মাধ্যমে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চাইছেন বলে অভিযোগ শুভেন্দুর।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার দায়িত্ব দিয়েছেন এডিজি-সিআইডি রাজশেখরণকে। শাহজাহানের কাছে সকালে ফিলার পাঠানো হয়েছে। বসিরহাটের এসপি জোবি থমাস ও ন্যাজাট থানার মাধ্যমে। যদিও শাহজাহান বলেছেন, তিনি আত্মসমর্পণ করবেন না। প্রয়োজনে মৃত্যুবরণ করবেন।

শুভেন্দু এদিন বলেন, সন্দেশখালির ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মুসলিম লাশ’ চেয়েছিলেন লোকসভা উতরে যাওয়ার জন্য। সংখ্যালঘু ভোট একত্রিত করতে। কিন্তু সিআরপিএফ জওয়ানরা নিজেদের প্রাণ বিপন্ন জেনেও হামলার মুখে পড়ে গুলি চালাননি। তৃণমূল বুঝতে পারছে সংখ্যালঘু মানুষজনের সমর্থন কমতে শুরু করেছে। তা বোঝা গিয়েছে বালিগঞ্জ থেকে শুরু করে সাগরদিঘীতে। এমনকী ব্রিগেডেও ডিওয়াইএফআইয়ের সমাবেশে প্রচুর সংখ্যালঘুর উপস্থিতি মমতার চিন্তা বাড়িয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর।

শুভেন্দু বলেন, রাজীবকে দিয়ে নিজের পরিকল্পনামতো কাজ করাতেই তাঁকে ডিজিপি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিজি হয়ে রাজীব প্রথম যেদিন কালীঘাটে যান সেদিন প্রথমে মমতা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। পরে মমতা উঠে যেতে অভিষেককে রাজীব বোঝান, এখন ঝগড়া না করে মিলেমিশে চলতে হবে।

শুভেন্দুর শ্লেষ, ডিজিপিকে দিয়ে এভাবেই ঘটকগিরি বা মধ্যস্থতার কাজ করাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে অবিলম্বে চুরিশ্রী প্রকল্প চালু করলে মমতাই তা প্রথম বছরে পাবেন বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *