বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
সন্দেশখালির ঘটনার প্রায় কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান শেখের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এবার তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘটনার পর অর্থাৎ শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি।
এমনকি রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু ঘটনার (Sandeshkhali) কয়েকদিন কেটে গেলেও সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশ্ন সরাসরি ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে আরও দুই প্রশ্ন রাখলেন রাজ্যপাল। রবিবার সিআরপিএফের আইজি-র সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সুত্রের খবর, দীর্ঘ বৈঠকে ঘটনার দিনের সম্পূর্ণ তথ্য নেন রাজ্যপাল। আর এই বৈঠকের পরেই রাজভবনের তরফে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তিন প্রশ্ন রাখা হয়েছে।
আর তা হল, রাজ্য সরকার রেশন দুর্নীতিতে কি পদক্ষেপ করেছে? শাহজাহান এখনও কেন গ্রেফতার হননি তাও জানতে চেয়েছেন রাজ্যপাল বোস। শাহজাহান শেখ বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলা হয়েছে রাজভবনের তরফে।
পাশাপাশি রাজবনের তরফে জারি করা বিবৃতিত্রে ফের একবার রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়বদ্ধতার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় যে পুলিশ আধিকারিক দায়িত্ব পালবে ব্যর্থ তাদের শাস্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, শুদুমাত্র বার্তা দিয়েই শান্ত হয়নি রাজ্যপাল বোস। এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়ে রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছে রাজভবন।
বলে রাখা প্রয়োজন, শুক্রবার ঘটনার পরেই কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে, গণতন্ত্র আক্রান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। শুধু তাই নয়, গণতন্ত্রে এই ধরনের বর্বরতাকে সরকারের রোখা উচিত বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল বোস।
আর তা না পাড়লে সংবিধান মেনে ব্যবস্থা নেওয়ারও ইঙ্গিত করেন তিনি। আর এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিব- সরাষ্ট্রসচিবকে তলব করা হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। এমনকি মারধর করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। ঘটনার পর থেকেই পলাতক সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। মিলছে না খোঁজ। এই বিষয়ে সরকারের ভূমিকা নিয়ে রবিবার হতাশাও প্রশ্ন করেছেন রাজ্যপাল বোস।