বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
তদন্তে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সাধারণ মানুষের আক্রমণের কার্যত প্রাণ বাঁচাতে হল তাদের। শুক্রবার সাত সকালেই মাথা ফাটল ইডি আধিকারিকদের। তিনজন তদন্তকারী কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন। উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
রাজকুমার রাম, সোমনাথ দত্ত, অঙ্কুর গুপ্তা এই তিনজন ইডি আধিকারিক চিকিৎসাধীন। সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তারা। অফিসার রাজকুমার রামের বয়স ৫২ বছর। মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সিটি স্ক্যান, এমআরআই করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। শারীরিক অবস্থা এখনও স্থিতিশীল রয়েছে।
রাজকুমার রামের মাথায় সাতটি সেলাই পড়েছে। সোমনাথ দত্তের মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। চিকিৎসকরা তাদের দিকে নজর রাখছেন। সন্দেশখালির সরবেরিয়া এলাকা থেকে কার্যত আধিকারিকরা প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে তদন্তকারীদের।
শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তারা বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দরজা খোলা হয়নি। দীর্ঘ সময় পরে দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা। তারপরেই বহু মানুষ এসে তাদের উপর হামলা করে। কেন্দ্রীয় জওয়ানরাও সেই হামলা ঠেকাতে পারেনি।
ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালির ওই এলাকা। ইডি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। সেই গাড়িগুলি অকুস্থলেই পড়ে রয়েছে বলে খবর। লঞ্চে করে তদন্তকারীরা এলাকা ছাড়েন। এমন কথাই শোনা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই বিষয়ে তথ্য গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সরবেরিয়া এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকতে পারে। গোটা এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে ফেলবে বলে খবর। উপর মহল থেকে বার্তা এলে এই অপারেশন হবে। এমন কথা জানা যাচ্ছে। ফের ইডি আধিকারিকরা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে কি তল্লাশি অভিযানে যাবে? এই প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে।
বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে পড়েছে। এদিকে তৃণমূল পাল্টা বক্তব্য পেশ করছে। ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষেও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা প্ররোচনা দিচ্ছে তদন্তের নামে। সেজন্যই মানুষ ক্ষেপে গিয়েছে। এমনই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।