বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। সংহতি নষ্ট করার জন্য সংহতি মিছিল করা হচ্ছে। এমনই বক্তব্য রেখেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি।
আগামী কাল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য জুড়ে মিছিল করবে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিলের ডাক দিয়েছেন। তিনি এই মিছিলের নাম দিয়েছেন সংহতি মিছিল। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোড়। রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন তৃণমূল কর্মসূচি রেখেছে।
আগামী কাল সোমবার ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে। সরযূ নদীর তীরে এখন সাজো সাজো ব্যাপার। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষ পৌঁছে গিয়েছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মন্দির উদ্বোধন করবেন। একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
মন্দির উদ্বোধনের দিনে তৃণমূল নেত্রী মিছিলের আয়োজন করেছেন। সংহতি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে এই মিছিল হবে। কালী মন্দিরে গিয়ে বিগ্রহের পা ছোঁবেন নেত্রী। তারপর মিছিল শুরু করবেন তিনি। এছাড়াও মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার ছুঁয়ে ওই মিছিল যাবে। কলকাতার মিছিলে হাঁটবেন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই মিছিলকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। খড়্গপুরে সকালে তিনি ছিলেন। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। যারা সংহতি মিছিলের নামে সংহতি নষ্ট করেন, তারাই আবার রাস্তায় নামছেন। শুধু তাই নয়, খড়্গপুর এলাকাতে পুলিশি জুলুম প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন সাংসদ।
রাম মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পুলিশ সেখানে এসে গা জোয়ারি করছে। এমনই অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। যেখানে যেখানে উৎসব হবে, সেখানে পুলিশ এসে ধমকাচ্ছে উদ্যোক্তাদের। ডেকরেটরদের ধমকানো হচ্ছে জিনিসপত্র না দিতে। মাইক লাগাতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ এইভাবে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ।
রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেই উৎসাহ রয়েছে। একাধিক জায়গায় রাম পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। সনাতনী হিন্দুদের মধ্যে একাধিক জায়গাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত এই ঘটনায়।