বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

আগামীকাল রাম মন্দিরের উদ্বোধন। তার আগে আজ প্রধানমন্ত্রী মোদী পৌঁছে গিয়েছেন রামসেতুতে। দেশের একেবারে শেষ প্রান্তে। যেখানে শ্রীরামের নির্দেশে হনুমান এবং তাঁর বানসেনা সমুদ্রের উপর সেতু তৈরি করে অসাধ্য সাধন করেছিলেন।

রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুতে। সেখানে সমুদ্রে পাড়ে বসে ধ্যান করেন তিনি। সেই সঙ্গে সমুদ্রের জলে পা ডুবিয়ে অনুলোম বিলোম করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তারপরে তিনি রামসেতু পরিদর্শন করেন। তামিলনাড়ুর ধনুষমুখী থেকেই শুরু হয়েছে রামসেতু।

তার আগে সকালেই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর কোঠান্ডার্মাস্বামী মন্দিরে। কোঠান্ডার্মা শব্দের অর্ধ হল ধনুরধারী শ্রীরাম। ধুনষকোটিতেই অবস্থিত এই মন্দির। কথিত আছে এই স্থােনই বিভীষণ প্রথম শ্রীরামের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। এবং শ্রীরামকে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আবার অনেকে বলে থাকেন এই স্থানটিতেই শ্রীরাম বিভিষণের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন।

কাজেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ধনুষকোটিতে যাওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১১ দিনের ব্রত পালন করেছেন। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মন্দির দর্শন করেছেন এবং সেখানে পুজো দিয়েছেন। শনিবার তিনি দক্ষিণভারতের তিনটি মন্দিরে দর্শন করেছেন। তিরুচিরাপল্লির শ্রী রঘুনাথস্বামী মন্দির, রামেশ্বরমের শ্রীরামনাথস্বামী মন্দিরেও পুজো দিয়ে প্রার্থনা করেছেন তিনি।

এদিকে শেষবেলায় অযোধ্যার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আকাশপথেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। ফুলে আর আলোতে সেজে উঠেছে গোটা মন্দির চত্ত্বর। ৭০০০ বিশেষ অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে। সেই তালিকায় রয়েছেন শিল্পপতি থেকে বলিউড তারকা,নেতা মন্ত্রী সকলেই। গতকাল ভিভিআইপি সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠতে চলেছে অযোধ্যা।

এদিকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পুজো দেওয়ার ঘটনাকে পুরোটাই রাজনৈতিক বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। কারণ দক্ষিণভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই অবিজেপি সরকার রয়েছে। কর্নাটক একমাত্র বিজেপির দখলে ছিল। সেটাও হাত ছাড়া হয়েছে। সেখানে সরকার গড়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে কেরলে বাম সরকার। যাঁরা আগেই জানিয়ে দিয়েছে রাম মন্দির নিয়ে রাজনীতি করবে বিজেপি সেকারণে তাঁরা অযোধ্যার উদ্বোধনে যাবেন না। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে সরকারে রয়েছে ডিএমকে। আবার তেলেঙ্গানাতেও সরকার গড়েছে কংগ্রেস। মোটের উপর দক্ষিণভারতে তেমন ভোট ব্যাঙ্ক তৈরি হয়নি বিজেপির। সেকারণেই অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে বারবার দক্ষিণভারতের বিভিন্ন মন্দিরে ছুটে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *