বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
ফের বড়সড় আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আগামী ১৯ জানুয়ারি মহা মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসতে হবে। এই দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের অনুপাতে রাজ্য সরকারকে ডিএ দিতে হবে। এই দাবি করে আসছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। চলতি জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকার কিছু পরিমাণ ডিএ বাড়িয়েছিল। কিন্তু সেই ডিএ প্রত্যাখান করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
১৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করলে আরও বড় আন্দোলনের কথাও বলা হয়েছে। আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটের পথে যাওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হচ্ছে। এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে৷
১৯ তারিখ মহামিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। বেলা ১২ টার সময় মিছিল শুরু হবে। তিনটি জায়গা থেকে মিছিল হবে। একটি মিছিল হাওড়া থেকে হবে। অন্য দুটি হবে শিয়ালদহও হাজরা থেকে। ধর্মতলার মঞ্চে এসে ওই মিছিল শেষ হবে। হরিশ মুখার্জি রোড দিয়ে মিছিল হবে না। এই কথা জানানো হয়েছে৷
১৯ তারিখের মিছিলে একাধিক সামাজিক সংগঠন ও চাকরিপ্রার্থীরাও হাঁটবেন। আদিবাসীরাও এই আন্দোলনে সামিল হবে। এমনই দাবি করা হয়েছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে সোমবার সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়।
সংগ্রামী যৌথমঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ জানাচ্ছেন, বিহারের থেকে আমাদের রাজ্যের আয় বেশি হলেও মজুরি সবচেয়ে কম। আমরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। লড়াই সাধারণ মানুষের জন্য। এখানে ভবিষ্যৎ নেই। আশা করি মানুষ সঙ্গ দেবে।
আন্দোলনকারীরা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ১৯ তারিখ তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। তা না হলে আগামী ২৯ তারিখ থেকে লাগাতার ধর্মঘটের পথে হাঁটা হবে। এমন হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার আদালতকে মান্যতা দেয় না। সেজন্যই এবার রাস্তায় নামছে কর্মচারী সংগঠন।
মুখ্যসচিব সহ সমস্ত দফতরের সচিবদের লাগাতার ধর্মঘটের স্বপক্ষে নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। ১৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করলে ওই মঞ্চ থেকেই অনশন শুরু হবে। চাকরি প্রার্থীরা বা ছাত্র সংগঠনগুলো চাইলে অনশন ও ধর্মঘটে সামিল হতে পারে। এই আহ্বানও করা হয়েছে।
এদিন অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে টাকা থাকা সত্ত্বেও মহার্ঘ ভাতা সম্পূর্ণ বাড়ানো হচ্ছে না।অথচ দফতরের মাথায় যে সচিবরা রয়েছেন, তাদের ভাতা বাড়ানো হচ্ছে। কর্মচারীদের ধর্মঘটের অধিকার আছে। নির্দেশিকা জারি করে মাইনে কাটা বা কর্মজীবনে ছেদ টানা বেআইনি। এই দাবিও উঠেছে এদিন।