বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ জুড়ে গেরুয়া শিবিরের দাপট চেয়ে চোখে পড়ার মতো। এবারও লোকসভা ভোটের সূচনা পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে উত্তরবঙ্গে তিনটি কেন্দ্র দিয়েই এর মধ্যে অন্যতম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশ্চিত প্রামাণিকের কেন্দ্র কোচবিহার।
এছাড়া রয়েছে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ছাড়া বাকি ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের এই তিন আসনেই এবার জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস শুক্রবার দিনভর গোটা রাজ্যের নজর ছিল উত্তরের ৩ কেন্দ্র কোচবিহার আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির দিকে। বিশেষ করে কোচবিহারে বারবার অশান্তির ঘটনা ঘটলো এবং আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেন নিশীথ প্রামানিক এবং উদয়ন গুহ।
ভোট শেষে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, এবার আমরা এই তিন কেন্দ্রেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি ক্রমশ মানুষের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারে এজেন্ট দিতে পারিনি বিজেপি। যেখানে এজেন্ট দিতেই পারছে না তাহলে বোঝা যাচ্ছে তাদের সংগঠনের ভালো কতটা খারাপ আর সংগঠন মজবুত না হলে মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় না তাই আমরা এই কেন্দ্রগুলিতে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে রাজ্যের প্রথম দফার ভোট। বিজেপি অবশ্য দাবী করেছে এর কৃতত্বে নির্বাচন কমিশনের। যদিও তা মানতে নারাজ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর কথার, ‘নির্বাচন কমিশনে যদি সব কাজ করে তাহলে রাজ্যের প্রশাসনের কোন প্রয়োজন নেই? কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন ফলে ভোট শান্তিপূর্ণ হওয়ার কৃতিত্ব যতটা নির্বাচন কমিশনের একই রকম ভাবে রাজ্যে প্রশাসনের সব ধরনের সহযোগিতা করছে বলেই নির্বাচন এত শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে।’
ভোটের দিকে নজর রাখতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবন একটি পিস রুম চালু করেছেন ছিলেন এই নিয়েও রাজ্যপাল কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তার উত্তরবঙ্গ সফর আটকে দিয়েছে তিনি তো কেরলের ভোটার ভোট চলাকালীন কেরলের ঘুরে আসতে পারেন কিন্তু আইন সবার জন্যই সমান এটা গণতান্ত্রিক দেশ এখানে সবার জন্য এক আইন। আর তিনি পিস রুম চালু করেছেন সেটা পিস হেভেন না হয়ে যায়।’
উদয়ন গুহকে ঘিরে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টচার্য বলেন, ‘অনেক রকম অশান্তি করার চেষ্টা ছিল কারো কারো উস্কানিতে। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মুখটা দেখুন, তাদের শরীরী ভাষা কি বলছে। এটা করে কোনও লাভ হবে না বিজেপি বুঝে গিয়েছে।