বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তৃনমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে (Mamata Banerjee) সভাস্থল নিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিলেন বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে আজ বৃহস্পতিবার সভা রয়েছে।
আর সেই সভার আগেই বুধবার সন্ধায় নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India) জরুরি ভিত্তিতে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূলের।
সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হরিরামপুরে যে সভা করবেন, সেই সভামঞ্চ স্থানীয় হাসপাতালের থেকে সামান্য দূরে তৈরি করা হয়েছে। যা নির্বাচন কমিশনের নিয়মকে নবুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতার।
এক্ষেত্রে তাঁর দাবি, নির্বাচন বিধি অনুযায়ী হাসপাতালের ১০০ মিটার দুরত্বে কেউ প্রচার সভা করতে পারবে না। যাতে হাসপাতালের সুস্থ পরিবেশ বজায় থাকে। কিন্তু এরপরেই তৃনমুল নেত্রী সেই নির্বাচন বিধি ভেঙে হাসপাতাল থেকে সামান্য দুরত্বে সভামঞ্চ বেধে সভা করতে যাচ্ছেন বলে দাবি বালুরঘাটের বিদায়ী সাংসদের।
চিঠিতে নির্বাচন কমিশনারকে দ্রুত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও হুঁশিয়ারি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখন দেখার তৃনমুল নেত্রীর সভাস্থল নিয়ে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সভা হওয়ার কথা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার হরিরামপুর ব্লকে এই সভা হওয়ার কথা রয়েছে। বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে এই সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এই সভা ঘিরেই একেবারে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। যদিও বিজেপি নেতার চিঠি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির সাংসদ এবার হারবেন। আর তা বুঝতে পেরে গিয়েছেন। এরপরেই এমন নোঙরা রাজনীতি করছেন বলে দাবি শাসকদলের।
বলে রাখা প্রয়োজন, বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। জলপাইগুড়ির নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ থেকে উস্কানিমুলক মন্তব্য করেছেন। বিজেপির দাবি, ভোটারদের হিংসায় প্ররোচিত করছেন মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal CM)। যা সম্পূর্ণ ভাবে আদর্শ আচরণ বিধিকে লঙ্ঘন করছে।
এমনকি যেভাবে বিজেপি কর্মীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে দেওয়ার কথা বলছেন তা উস্কানি বলেও দাবি বিজেপি। এই মর্মে এই অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কিংবা কমিশনের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।