বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: উনিশ এপ্রিল শুক্রবার সারা দেশে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন। তার আগে সোমবার সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। তার মধ্যে যেমন রয়েছে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে উত্তর, ঠিক তেমনই রয়েছে ২০২৪-এ ক্ষমতায় ফিরলে সংবিধান বাতিল নিয়ে বিরোধীদের মন্তব্যে তাঁর জবাব।
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রামমন্দিরের কথাও। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, কেন তারা সনাতন ধর্ম নিয়ে যারা বিষ ছড়াচ্ছে তাদের সঙ্গে বসে রয়েছে। প্রসঙ্গত কংগ্রেস তামিলনাড়ুতে ডিএমকের সঙ্গে জোট করেছে। ডিএমকে সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে।
রাম মন্দির নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ইস্যুতে কে রাজনীতি করেছে? তিনি অভিযোগ করেছেন ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে এই ইস্যুকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেখানে বারে বারে উস্কানি দেওয়া হয়েছিল। আর আদালতের রায় যাতে না দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এখন রামমন্দির তৈরি হয়েছে আর ইস্যুটা বিরোধীদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।
কংগ্রেস ও তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধীরা অভিযোগ করছে, বিজেপি কিংবা তাদের জোট যদি ৪০০ পেয়ে যায়, তাহলে সংবিধান বাতিল হয়ে যাবে। এব্যাপারে উত্তর দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন. যে ব্যক্তি রাষ্ট্রসংঘে গিয়ে বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা, তামিলের প্রশংসা করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কীভাবে এমন অভিযোগ করা যেতে পারে? প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন কীসের ভিত্তিতে এমন কথা বলছেন বিরোধীরা?
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে পরশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী এব্যাপারে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশে দীর্ঘদিন ধরে কালো টাকায় ভোট চলত। প্রথমে তারা ঠিক করেছিলেন বিজেপি চেকের মাধ্যমে টাকা নেবে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হননি। সেখানে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কারা টাকা দিয়েছে, তা জানা যাচ্ছে। ষোলোটি কোম্পানির দেওয়া টাকার ৩৭ শতাংশ বিজেপি পেয়েছে, আর বাকি ৬৩ শতাংশ বিরোধীরা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রায় তিন হাজার কোম্পানি বন্ডে টাকা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিরোধীরা যখন সৎভাবে চিন্তু করবে, তখন তারা নির্বাচনী বন্ড বাতিলের সিদ্ধান্তে অনুতপ্ত হবে।
বিজেপি তাদের সংকল্প পাত্রে এক জাতি, এক নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এক দেশ-এক নির্বাচন বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। দেশের অনেক মানুষ এব্যাপারে গঠিত কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে খুব ইতিবাচক এবং উদ্ভাবনী পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।