বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদল সূত্রে খবর, সোমবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে দশ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কমিশন থেকে সোমবার বিকেলে তাদের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

বৈঠকের পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা নির্বাচন সদনের গেটের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এর আগে গত সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেদিন তৃণমূলের দাবি ছিল ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা বন্ধ রাখতে হবে এবং বিরোধী দলগুলির জন্য লড়াইয়ের ময়দান সমান রাখতে হবে। পাশাপাশি কমিশনকে নিরপেক্ষ হলেই চলবে না, তারা যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে, তা সাধারণের বোধগম্য করতে হবে বলে দাবি করেছিল তৃণমূল।

ভোটের আগে এজেন্সিকে অপব্যবহার করে ভয় দেখা চাইছে বিজেপি। এদিন দিল্লি রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে এমনটাই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। এদিন সকালে কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন ও অর্পিতা ঘোষ এবং সাংসদ দোলা সেন।

এছাড়াও এদিন নির্বাচন কমিশনে যেতে চাওয়া তৃণমূলের দলের বাকি সদস্যরা হলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ নাদিমুল হক, সাংসদ সাকেত গোখলে, সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, বিধায়ক বিবেক গুপ্তা, প্রাক্তন সাংসদ আবির বিশ্বাস এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রাহা।
শনিবার ভূপতিনগরে এনআইএ হানার পরে রবিবার তৃণমূলের তরপে অভিযোগ করা হয়েছিল এনআইএ ও বিজেপির মধ্যে অপবিত্র জোট তৈরি হয়েছে। কিন্তু কমিশন এব্যাপারে নীরব রয়েছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে বলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও তোলা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে।

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ কলকাতায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিউটাউনে এনআইএ-র এসপির ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা করে আধঘন্টার বেশি বৈঠক করে তাঁকে প্যাকেট তুলে দিয়েছেন। সেখানে গ্রেফতারের জন্য তৃণমূল নেতাদের নাম ছিল বলেও দাবি করেছেন। পরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, যদি তৃণমূল সাতদিনের মধ্যে এটা প্রমাণ করতে পারে তাহলে তিনি রাজনীতি ছাড়বেন, না হলে তিনি মানহানির মামলা করবেন। তিনি আরও বলেছিলেন, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মামলায় জড়িত থাকা তৃণমূল তার পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে, যে কারণে মিথ্যা ও কাল্পনিক বর্ণনা তৈরি করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *