বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আঠারোতম লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন সংস্থার করা যা ভবিষ্যদ্বাণী সামনে এসেছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে কংগ্রেস স্বাধীনতার পর থেকে সব থেকে কম আসন পেতে পারে। সেখানেই প্রশ্ন আসছে, কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীর ভবিষ্যত নিয়ে।

ভোট বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যদি পছন্দমতো ফলাফল না পায়, তাহলে রাহুল গান্ধীর উচিত সরে যাওয়া এবং অন্য কাউকে রাস্তা করে দেওয়া। তিনি বলেছেন, মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও রাহুল গান্ধী দল চালাচ্ছেন। নিজের অক্ষমতা সত্ত্বেও তিনি সরে যাননি কিংবা অন্য কাউকে দল পরিচালনা করতে বলেননি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, তাঁর মতো এটাও গণতন্ত্র বিরোধী। যখন তিনি দশ বছর ধরে কোনও সাফল্য ছাড়াও একই কাজ করছেন, তখন সরে যাওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। প্রশান্ত কিশোর উপদেশ দিয়ে বলেছেন, উচিত হল, পাঁচ বছরের জন্য অন্য কাউকে এব্যাপারে অনুমতি দেওয়া।

প্রশান্ত কিশোর এব্যাপারে সোনিয়া গান্ধীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, রাহুল গান্ধীর মা, স্বামী অর্থাৎ রাজীব গান্ধীর হত্যার পরে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৯৯১ সালে পিভি নরসীমা রাওকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে সাহায্য করেছিলেন।
তিনি আরও বলেছেন, বিশ্বব্যাপী ভাল নেতাদের বৈশিষ্ট্য হল , তারা জানে তাদের কীসের অভাব রয়েছে। সক্রিয়ভাবে সেই শূন্যস্থান পূরণের চেষ্টা তাঁরা করে থাকেন। কিন্তু রাহুল গান্ধীর মনে হচ্ছে, তিনি সব কিছু জানেন। তিনি (রাহুল) যদি কী সাহায্যের প্রয়োজন তা চিহ্নিত করতে না পরেন, তাহলে কেউ তাঁকে সাহায্য করতে পারবে না। তিনি যা সঠিক মনে করেন, তাই কার্যকর করতে হবে, এটা হলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর।

প্রসঙ্গত প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা তৈরি করেছিলেন। তিনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্যও তৈরি ছিলেন। কিন্তু কৌশল আর তার বাস্তবায় নিয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেসে যোগদান অধরাই রয়ে গিয়েছে।
সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধী দুটি নির্বাচন পরিচালনা করেছিলেন। তার মধ্যে ২০১৪-র নির্বাচনে কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত সব থেকে কম ৪৪ আসনে নেমে যায়। আর ২০১৯, সেখানে কংগ্রেসের আসন সামান্য কিছুটা বেড়ে ৫২ হয়।

বর্তমানে কংগ্রেসের পিছিয়ে পড়া নিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন, বিচারবিভাগ এবং মিডিয়ার কারণে তারা বিপর্যয়ের মুখে পড়ছেন। এব্যাপারে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, এটা আংশিক সত্য হতে পারে, কিন্তু সম্পূর্ণ সত্য নয়। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ২০১৪-তে কংগ্রেস যখন ৪৪-এ নেমে গিয়েছিল, তখন তারা ক্ষমতায় ছিল। পিকে বলেছেন, কংগ্রেস তার কাঠামোগত ত্রুটির জন্য ভুগছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *