বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসেই লোকসভা নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন দেশে। তার মধ্যেই দেশের একাধিক আসনে, জায়গায় কম সংখ্যক ভোটদানের ঘটনা চিহ্নিত করেছে। এই বিষয়ে নির্বাচন আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তারা আলোচনাও করেছে।

শুক্রবার একটি বৈঠক হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২৬৬ টি সংসদীয় কেন্দ্র তারা চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে ২১৫ টি গ্রামীণ এলাকায় কম ভোটদান হয়। লোকসভা নির্বাচনে ভোটের শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্যে হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় কম ভোটদানের এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই রাজ্যের নির্বাচিত জেলা নির্বাচন অফিসাররা তো বটেই, প্রধান শহরগুলির মিউনিসিপ্যাল কমিশনাররা আলোচনায় বসেছিলেন। শহর এবং গ্রামীণ লোকসভা আসনগুলিতে ভোটারদের সম্পৃক্ততা এবং অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

আলোচনায় কম ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে গুরুত্ব পায়। নির্বাচন কমিশন বলেছে, ২৬৬ টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫ টি হল গ্রামীণ। আর ৫১ টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা শহরের। এখানে কম ভোটদানে উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, তেলেঙ্গানা, গুজরাট, পঞ্জাব, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর প্রভৃতি রাজ্যের কথা জানা গিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এইসব রাজ্যগুলি ছাড়াও আরও ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের তালিকা আছে। এই সব অঞ্চলের
ভোটদান ছিল জাতীয় গড় ৬৭.৪০ শতাংশের থেকে কম।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, সব জায়গার জন্য একই পদক্ষেপ করলে হবে না। আলাদা আলাদা ব্যবস্থা জায়গা বুঝে করতে হবে। বিভিন্ন এলাকা এবং বিভাগের জন্য বিভিন্ন কৌশল তৈরি করতে হবে। সাত দফায় এবার লোকসভা নির্বাচন। সেই হিসেবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *