বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে গিয়ে দুই তৃণমূল কর্মীকে ধরে ফেরত আসার সময় পূর্ব মেদিনীপুরের অর্জুননগরে এনআইএ-র গাড়িতে হামলা। ইঁটের ঘায়ে গাড়ির কাঁচ ভাঙে। এক আধিকারিকের মাথা ফাটে। এই ঘটনাকে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ বলছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিরোধীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।
বিজেপির তরফে রাজ্যসভার সাংসদ তথা মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারির দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। অন্যদিকে বাংলায় জঙ্গলরাজের অভিযোগ করেছে বামেরা।
পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি পাথর ছোড়া হয়। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভূপতিনগর থানা থেকে ফোর্স পৌঁছনোর আগেই গ্রামে পৌঁছে যায় এনআইএ-র একটি দল। তারা বলাই মাইতি, মনোব্রত জানাকে আটক করে বেরিয়ে আসার সময় গ্রামবাসীদের একাংশ এনআইএ-র গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তারপরেই গাড়িতে ইট ও পাথর ছোড়া হয়। পরে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে এনআইএ।
এদিনে গ্রেফতার হওয়া বলাই মাইতির দাদা দাবি করেছেন, গ্রামে এনআইএ-র গাড়িতে হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভোরে এই ঘটনার পরেই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই মিছিল থেকে বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। তাদের দাবি অনৈতিকভাবে আটক করা হয়েছে ওই দুজনকে। কাঁথির তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিকের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি।
অন্যদিকে এদিন এনআইএ-র ওপরে হামলার ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই, বলেছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি রাজ্যে ৩৫৫ ধারার দাবি তুলেছেন। ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেছেন, রাজ্যে যাতে আইনের শাসন কায়েম করা না যায়, তার জন্য সন্দেশখালির ধাঁচে হামলা করা হয়েছে।
এই ঘটনায় রাজ্যে অরাজকতা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন, দমদম কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেছেন, আদালতের নির্দেশে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ। এদিন কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার ওপরে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত ২০২২-এর দোসরা ডিসেম্বরে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল ভূপতিনগর। কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতে ঝলসে মৃত্যু হয় অন্তত তিনজনের। তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের বিরুদ্ধে বেআইনি বাজি কারবারের অভিযোগ উঠেছিল।