বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সিএএ নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে রাজ্যে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে। তিনি নাগরিকত্বের আবেদন না করার বার্তা দিচ্ছেন। এই অবস্থায় বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

তৃণমূলের কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বাঁচায়। এমনই মন্তব্য করেছেন বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। এই ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা। নাগরিকত্বের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এমন কথা? শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷

বনগাঁ কেন্দ্রে এবারও শান্তনু ঠাকুর বিজেপির প্রার্থী। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে প্রচার চালাচ্ছেন। মতুয়া সম্প্রদায়কে নাগরিকত্বের আবেদন করতেও বলা হচ্ছে। বিষয়টি তাঁরা দেখে নেবেন। এই কথাও একটি প্রচারে তাঁকে বলতে শোনা যায়।

কিন্তু এবার যেন অন্য মাত্রা দিয়েছে শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য। বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শুরু থেকেই দাবি করছিলেন সিএএ চালু হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ চালু হবে। এই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূল বারবার তাঁকে আক্রমণ করেছেন। মতুয়ারাও একসময় অধৈর্য হয়ে ওঠেন। কিন্তু গত মাসেই সিএএ চালু হয় ভারতবর্ষে।
তৃণমূল নেত্রী তারপর থেকেই আরও জোরালো প্রতিবাদ করছেন। সিএএর সঙ্গে এনআরসি জড়িয়ে আছে। কেউ যাতে নাগরিকত্বের ফর্মপূরণ না করেন। ফর্মপূরণ করলেই দেশের নাগরিকের অধিকার হারাবে। এই কথাও বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার রীতিমতো আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গেল শান্তনু ঠাকুরকে। তিনি বলছেন, একটা টিএমসির লোককেও আমরা নাগরিকত্ব দেব না। ওদের খ্যামটা নাচ কত, তারপর ওদের দেখাব। ওদের বড় বড় কথা না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন বাঁচায় তোদের।”

তাহলে কি নাগরিকত্ব আইনেও রাজনীতির দলাদলি চলে এল? বিরোধীরা নাগরিকত্ব পাবেন না! এমন ইঙ্গিতই কি দিলেন শান্তনু ঠাকুর? নির্বাচনের আগে কী বললেন বিজেপি প্রার্থী? তৃণমূলের হাতে এই ইস্যুতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হল না? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *