বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::কলকাতা মেট্রোর নির্মাণে ফের বাধা। নিউ গড়িয়া- এয়ারপোর্ট রুটে কাজে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ মেট্রো কর্তৃপক্ষের। এই রুটের কাজ দ্রুত শেষ করতে যান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন।

সে ব্যাপারে কলকাতা পুলিশকে একাধিকবার জানানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে মেট্রোর তরফে। এব্যাপারে ব্যস্ত রাস্তা হওয়ার সাফাই দিয়েছেন তৃণমূলে নেতা অরূপ চক্রবর্তী।

অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে মেট্রোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশের তরফে দাবি, অভিযোগ একতরফা। পুলিশ রাস্তা ব্লক করতেও তৈরি, কিন্তু সিপির ডাকা বৈঠকে মেট্রো কর্তৃপক্ষ হাজির হয়নি বলে পাল্টা অভিযোগ কলকাতা পুলিশের।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নিউ গড়িয়া থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত লাইন পরিদর্শন করে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি। এব্যাপারে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, কাজ করতে গেলে বাইপাসে যান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বেলেঘাটা মেট্রো স্টেশনে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ফুট ওভারব্রিজ তৈরি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেব্যাপারে কলকাতা পুলিসের তরফে যোগাযোগ করে বলা হয়, একটি পিলার তৈরি করতে ব্লক করতে হবে। যা করতে রাস্তা চওড়া করতে হবে। সেই অনুযায়ী আরভিএনএলের তরফে রাস্তা চওড়া করে দেওয়া হয়। এরপরেই রাস্তা ব্লক করা হচ্ছে না। ফলে মানুষ যে স্টেশনা আসবে, তার জন্য ফুট ওভার ব্রিজ তৈরি করা যায়নি।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, দ্বিতীয় সমস্যাটি মেট্রোপলিটনের কাছে। সেখানে রেক ঘোরাতে নব্বই মিটার মতো জায়গা লাগবে। সেব্যাপারে আরভিএনএলের তরফে অনেকবার কলকাতা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, কথাও বলা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের দাবি মতো সেখানে রাস্তা চওড়া করে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও সেখানে ব্লক করা হয়নি। ফলে কাজ আটকে রয়েছে।

যদিও মেট্রোর তরফে তোলা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে ৬০ দিনের ব্লকেজ চাওয়ার পরে দেড়শো দিন অতিক্রান্ত হলেও সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। সেই জায়গায় ব্লকেজ রয়েই গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরপে সেই কাজ দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে আরভফিএনএলকে। লালবাজারের তরফে দাবি করা হয়েছে, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড অর্থাৎ আরভিএনএলের সঙ্গে যেসব সংস্থাগুলি কাজ করে, তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *